শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

প্রবাসীদের টার্গেট করে ছিনতাই করত তারা

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশে আসা বিদেশি ও প্রবাসীদের টার্গেট করা হয় বিমানবন্দরে নামার পরই। গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা প্রবাসীদের গাড়ি দিয়ে সহযোগিতার নামে গাড়িতে তুলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। আবার কখনো সখ্য গড়ে চক্রের সদস্যরা টার্গেট করা প্রবাসীদের চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে ঢাকার বাইরে ফেলে দেয়। লুট করা হয় সঙ্গে থাকা সব মালামাল।

রাজধানীর বিমানবন্দর কেন্দ্রিক সম্প্রতি সংঘটিত দুটি ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ। গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের তিন সদস্যকে।

রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- মো. মাসুদুল হক আপেল, আমির হোসেন হাওলাদার ও মো. শামীম। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মীরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫টি পাসপোর্ট, দুটি এনআইডি কার্ড, দুটি এটিএম কার্ড, একটি আইপ্যাড, একটি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, একটি বিএমইটি কার্ড, একটি অফিস আইডি কার্ড, একটি স্টিলের চাকু ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর মো. লিটন সরকার নামে এক প্রবাসী মিসর থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বাংলাদেশে আসেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজের নিচে এসে বাসার উদ্দেশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন।

এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় ৫ থেকে ৬ জন লোক ধারালো চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা হ্যান্ডব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে চলে যায়। হ্যান্ডব্যাগ ও লাগেজে থাকা তার একটি পাসপোর্ট, মিসরের ভিসা, বিমানের টিকিট, আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, দুটি মোবাইল সেট, একটি স্মার্ট কার্ডসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে একটি বাসে তুলে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোনো কিছু না জানানোর জন্য ভয়-ভীতি দেখায়। এই ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়।

অন্যদিকে ৫ অক্টোবর ব্রিটেন থেকে ঢাকায় নামেন ওমর শরিফ। নাটোরের বড়াইগ্রাম যাওয়ার সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে অপহৃত হন তিনি। তাকে ঢাকার বাইরে নামিয়ে দেওয়া হলেও তার পাসপোর্টসহ সঙ্গে থাকা সব মালামাল লুট করা হয়।

পৃথক ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ। গোয়েন্দা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত চক্রের ওই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে প্রবাসীদের টার্গেট করে বিমানবন্দর কেন্দ্রিক অর্ধশতাধিক ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের পর মালামাল লুটের ঘটনা ঘটলেও মামলা হয়েছে মাত্র সাতটি। দ্রম্নত বিদেশ ফিরে যাওয়ার তাড়া থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা ঝামেলা মনে করে মামলা করছেন না বলে জানিয়েছে ডিবি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে