'সংক্রমণের নিম্নগতি হলেও আত্মতুষ্টির কারণ নেই'

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নগতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ হলেও এতে 'আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই' উলেস্নখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ রক্ষায় সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শতভাগ কার্যকর ভ্যাকসিন হাতে না পাওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচলিত সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের বেলাতেও একইরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।' রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেও যারা এখনো এসএমএস পাননি তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'যাদের এখনো এসএমএস আসেনি তাদের অবশ্যই ধৈর্যসহ অপেক্ষা করতে হবে।' তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ, তাদের মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষ দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছেন। তবে যাদের নিবন্ধন হয়েছে, মোবাইল ফোনে এসএমএস এসেছে, হ যথাসময়ে তারা টিকা গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, গত সাতদিনে সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচেই ছিল, শুধুমাত্র ১৯ অক্টোবর ২ দশমিক ২০ শতাংশ হয়েছিল। বাকি পুরোসপ্তাহ জুড়েই ২ শতাংশের কম ছিল। সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী ছিল এবং সেটি এখনো অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। জুলাই মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আগস্ট মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে তুলনায় অক্টোবর মাসে মাত্র ১১ হাজার ৫০৬ জনের শনাক্ত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে করোনামুক্ত বলা যায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। এখনো প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। টিকার জন্য কতজন স্কুল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে- জানতে চাইলে ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তথ্য দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পুর্ণাঙ্গ তথ্য এলে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকারী স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।