মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা পুষ্টি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিতে চাই : কৃষিমন্ত্রী

ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না, আমরা সারা বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ করতে পারব। কৃষিপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে সারা বছর আম পাওয়া সম্ভব হবে।

রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশের ৫০ বছর : কৃষির রূপান্তর ও অর্জন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার জার্নালিস্ট ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও কেউ না খেয়ে নেই, খাদ্যের সংকট নেই, হাহাকার নেই। বাংলাদেশ দানাজাতীয় খাদ্যে অনেক আগেই সফল হয়েছে। সেটাকে যদি আমরা পুষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ে যেতে পারি অর্থাৎ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদিতেও স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সফল হতে হবে। বাংলাদেশকে আমরা পুষ্টি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিতে চাই।

ডক্টর রাজ্জাক বলেন, আমরা ৪০০ গ্রাম চাল খাই প্রতিদিন। পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ ২০০ গ্রামের বেশি চাল খায় না। সেজন্য কৃষিপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পুষ্টিজাতীয় শস্য উৎপাদনে আরও উন্নতি করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং এখানে বিশুদ্ধ পানি খুব সহজলভ্য। ২০ থেকে ৩০ ফুট নিচেই বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না। মাটির উর্বরতা ও পানির সহজলভ্যতার সঠিক ব্যবহারে দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর মো. শাহজাহান কবীর বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের কৃষিতে বিশাল রূপান্তর হয়েছে। ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন থেকে চারগুণ।

এসিআইএ অ্যাগ্রিকালচারের প্রধান নির্বাহী এফ এইচ আনসারী বলেন, বেসরকারি খাত কৃষির উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করছে। এখন ৯৫ ভাগ হাইব্রিড ধানের বীজ, ৯৬ ভাগ সবজি বীজ, ৯৯ ভাগ পাটবীজ প্রাইভেট সেক্টর সরবরাহ করে। বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারা বিশ্বে।

এফএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে