দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডেল্টার চেয়ে ছয় গুণ দ্রম্নত ছড়ায় ওমিক্রন। অ্যান্টিবডি থেরাপির মাধ?্যমেও এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, করোনার 'ডেল্টা পস্নাসে' ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। ওমিক্রন এই ডেল্টা পস্নাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর, অর্থাৎ দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদ্যমান টিকাগুলো থেকে পাওয়া সুরক্ষা ভেদ করতে পারবে এই ওমিক্রন।
জিনোমিক্স এবং ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি ইন্সটিটিউটের (আইজিআইবি) গবেষক মার্সি রোফিনার মতে, করোনার নতুন এই ধরন ৫৩টি রূপ বহন করতে পারে।
ওমিক্রন নিয়ে 'অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্স'র (এইমস) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, 'ওমিক্রন এরই মধ্যেই স্পাইক প্রোটিন অঞ্চলে ৩০টির বেশি মিউটেশন (পরিবর্তন) পেয়েছে। এটা স্পাইক প্রোটিনের উপস্থিতি কোষে ভাইরাসের প্রবেশকে সহজ করে দেয়। স্পাইক প্রোটিনের কারণেই এটি দ্রম্নততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়।'
করোনার নতুন ধরনের ওপর কোভিড-১৯ এর টিকার কার্যকরিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। স্পাইক প্রোটিন এলাকায় একাধিক মিউটেশনের ফলে করোনার নতুন রূপের ওপর টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই অবস্থায় ভারতের ব্যবহৃত টিকাগুলোর কার্যকরিতা মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
