মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলো একের পর এক গুঁড়িয়ে দিতে থাকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। বাংলাদেশের সব রণক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী বিপুল উদ্যমে অগ্রযাত্রা শুরু করে। তাদের সম্মিলিত বিমান হামলায় পুড়ে ছারখার হয়ে যায় হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলো। হামলার মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী একপ্রকার পঙ্গু হয়ে পড়ে। তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এদিন স্থল সীমান্ত শহর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সম্মিলিত বাহিনীর দখলে চলে আসে।

মুক্তিবাহিনী, ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী চারদিক থেকে পাক হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। ঢাকা-চট্টগ্রামের আকাশে

\হচলে বিমান যুদ্ধ।

আজকের দিনটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওই সময়ে চরম অস্থিরতা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সিনিয়র জর্জ বুশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজ নিজ সীমান্তের ভেতর সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলেন।

এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র তখন বৈঠকের পর বৈঠক করতে থাকে। চরম উদ্বেগ আর চিন্তার মধ্যেই আসে খুশির খবর। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে ভেস্তে যায়। পোল্যান্ডও এ প্রস্তাবে বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ আক্রমণে বাংলাদেশের প্রত্যেক জায়গা থেকে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। এদিন রাতে আখাউড়াতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহনীর প্রচন্ড গোলাগুলি হয়। সারারাত যুদ্ধের পর ৫ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে