বিএনপি কাযার্লয়ে সুনসান নীরবতা

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাযার্লয়ে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয় আওয়ামী লীগ কাযার্লয়ে। কিন্তু বিএনপি কাযার্লয়ে ছিল না কোনো নিবার্চনী তৎপরতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রাথীের্দর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রাথির্তা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ ২৩ ডিসেম্বর। নিবার্চন নিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন অবস্থানের মধ্যেই এ তফসিল ঘোষণা করা হয়। গতকাল বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে বেলা ১১টায় দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন ছিল। এ সময় দলের কয়েকজন নেতা-কমীর্ দলীয় কাযার্লয়ে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থাকায় গণমাধ্যমকমীের্দর উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম। সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়ি বিএনপির কাযার্লয়ের সামনে রাখা। দলটির কাযার্লয়ের পাশে একটি বেসরকারি হোটেলের সামনে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল সতকর্ অবস্থায় দঁাড়িয়ে আছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে থাকা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সদস্য বিএনপির কাযার্লয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়ার আগেই আকস্মিকভাবে নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা একতরফা নিবার্চন অনুষ্ঠানেরই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিয়ে দেশের সংকট সমাধান করুন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মেনে নিন। নিবার্চনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিবার্চনে সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রচারে সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করুন’। এরপর গণমাধ্যমকমীর্রা নয়াপল্টন কাযার্লয় ত্যাগ করলে বিএনপি কাযার্লয় আগের মতো সুনসান নীরবতা চলে আসে। জনাকয়েক নেতা-কমীর্ দলের দপ্তরে বসে ছিলেন। তফসিল ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আলাপ-আলোচনা চলার মধ্যে আকস্মিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। নিবার্চনে যাওয়া, না যাওয়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে দল ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। নিবার্চনের তফসিল ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একতরফা নিবার্চন করার জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে আরও প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।