নোয়াখালী সদর ইউপি নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কেন্দ্র দখলের হুমকির ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর 'ভোট কেন্দ্র দখলের হুমকি' দিয়ে তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে শাসক দলের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেন্দ্র দখল ও জোর করে ভোট নেওয়ার হুমকির পর নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ভোটাররা শংকিত হয়ে পড়েছেন। তবে, যে কোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন হ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বলেন, 'আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি, আপনাদের কাছে ভোট দাবি করতেছি, আপনারা আগামী ২৬ তারিখে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। কোন কেন্দ্র উনি নিজের হাতে নিয়ে যাবে, এগুলো খামাকা (ভুয়া) কথা। কেন্দ্র দখল করলে আমরা করব, জোর করে ভোট নিলে আমরা নিব, কারণ আমরা সরকারের প্রতিনিধি! ইনশাআলস্নাহ।' রোববার রাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, 'আমি অন্য সূত্র ধরে এ কথা বলেছি। ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এটি আমার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপনের কাজ।' এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন বলেন, 'তিনি নিজ মুখে কেন্দ্র দখলের কথা বলেছেন, যার ভিডিও ইতোমধ্যে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কেন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করব। শুধু এই ভিডিও নয়, নৌকার প্রার্থী ইতিমধ্যে তার সব নির্বাচনী পথসভা, শোডাউন, উঠান বৈঠকে কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার ও ভোটের আগে আমার কর্মীদের এলাকা ছাড়া করার ঘোষণা দিয়ে আসছেন।' সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জুলকার নাঈম বলেন, 'একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।' প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নোয়াখালী সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।