ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স
জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ম শফিকুল ইসলাম
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা। ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আগের জনবল কাঠামো দিয়েই চলছে হাসপাতালটি। এছাড়া রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট।
এদিকে, ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আধুনিক মানের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থাকলেও কনসালটেন্ট ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে কয়েক বছর থেকে অপারেশন বন্ধ। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় রোগীদের বাইরে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। হাসপাতালে রোগীদের শয্যাগুলোতেও নেই আধুনিকতার ছোঁয়া।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই। কনসালটেন্টের চারটি পদের মধ্যে মাত্র একজন গাইনি কনসালটেন্ট রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ৯ জন চিকিৎসক ও চারটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারজন চিকিৎসকসহ
মোট ১৩ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে সাতজন কর্মরত থাকলেও তাদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে, আর একজন ডিপুটেশনে। ফলে কর্মস্থলে উপস্থিত আছেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক। বাকি পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। তিনজন সেবিকার পদ শূন্য রয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট চরমে। প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে ৩শ' থেকে সাড়ে ৩শ' রোগী আসে। এতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম পোহাতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, হাসপাতালে শুধু ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়, পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগীরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। যার ফলে প্রতিদিন আউটডোর ও ইনডোর মিলিয়ে ৩শ' থেকে সাড়ে ৩শ' রোগী আসে। সরকারি বিধি অনুসারে শূন্যপদে চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবে রোগীরা।