বিমানের ভাড়া কমানোর দাবি প্রবাসীদের

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বিমানের টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা এবং টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ জানিয়ে ভাড়া কমিয়ে তা প্রবাসী কর্মীদের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবি জানিয়েছে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ। পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, টিকিট সংকটের কারণে দেশে এখন ৪০ থেকে ৫০ হাজার বিদেশগামী যাত্রী অপেক্ষায় রয়েছেন। যাত্রীদের এই সংকট মেটাতে দ্রম্নত বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হোক। বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে বিদেশগামী কর্মীদের এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানিতে বিদেশগামী কর্মী ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, তার মধ্যে বিমান টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা এবং টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম। তাই বিমানের টিকিটের দাম কমাতে হবে। তারা আরও বলেন, আগে যে বিমান টিকিটের মূল্য ছিল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা সেই টিকিট এখন ৭৫-৯০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না। অতীতেও সুযোগ বুঝে অনেকবার এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে তখন থেকেই আমরা নানাভাবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে এলেও, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টির কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিমান টিকিট নিয়ে বারবার এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সদস্যরা বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রী বাংলাদেশ বিমানে যাতায়াত করলেও, অবশিষ্ট প্রায় ৮০ শতাংশ যাত্রী বিদেশি বিমানে যাতায়াত করে থাকে। দেশীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান নিজেদের লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধি করে। ফলে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বিমানকে অনুসরণ করে পালস্না দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে থাকে। ফলশ্রম্নতিতে টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রবাসীগামী নিরীহ কর্মীরা নিষ্পেষিত হচ্ছে মন্তব্য করেন তারা। দাবি জানানো হয়, বিদেশগামী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার চালু করতে হবে; দেশের বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমানকে ভাড়ার মডেল তৈরি করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে সেটি অনুসরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; কোনো গন্তব্যে হঠাৎ যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেই রুটে বিমান বাংলাদেশকে যথাশিগগির স্পেশাল ফ্লাইটের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তদারকির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।