জরুরি অবস্থার ভ‚মিকা বলতে হবে আ’লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
এক যুগ আগে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে রাজনৈতিক অবস্থান ও ভূমিকা কী ছিল তা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে জানতে চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফ?রমে প্রাথীর্র বিবরণীর একটি ঘরে ‘২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি পরবতীর্ সম?য়ের ভূমিকা’ লিখতে বলা হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। নেতাকমীর্রা মনে করছেন, জরুরি অবস্থার মধ্যে দলের দুঃসময়েও যারা সক্রিয় ছিলেন, তাদের মূল্যায়নের জন্যই ফরমে ওই ঘর রাখা হয়েছে এবার। তারা জানান, সবের্শষ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমে এ ধরনের কোনো ঘর ছিল না। এবারের ফরমে বিষয়টি নতুন যোগ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনকাল অবসানের পর রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওই অবস্থায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি; এরপর দায়িত্ব নেন ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওই ঘটনা চিহ্নিত হয়ে আছে ‘ওয়ান-ইলেভেন’ হিসেবে। দুই বছর পর নিবার্চনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফেরে, বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু তার আগে জরুরি অবস্থার ওই দুই বছরে দুনীির্তর অভিযোগে দেশের শীষর্ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কমর্কতাের্দর গ্রেপ্তার করা হয়। বাক্ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি রাজনৈতিক কমর্কাÐের সুযোগ সংকুচিত করা হয়। ‘ওয়ান ইলেভেন’ এর ওই পটপরিবতের্নর পর রাজনীতিতে নানা ভাঙা-দল গড়ার খেলা দেখতে পায় বাংলাদেশের মানুষ। সে সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীষর্ দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা পরিচিতি পায় ‘মাইনাস টু ফমুর্লা’ হিসেবে। এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে সংস্কারের প্রস্তাব তোলেন কিছু নেতা, তারা পরে চিহ্নিত হন সংস্কারপন্থি হিসেবে। আর অন্য একটি অংশ দলের শীষর্ নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ধরে রেখে হাল ধরে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থাই বিলোপ করে দেয়। আর আমীর হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবের হোসেন চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মুকুল বোস, আব্দুল মান্নানের মতো ‘সংস্কারপন্থি’ নেতাদের দলীয় পদ হারাতে হয়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার আগে ও পরে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেই ‘সংস্কারপন্থি’দের কাউকে কাউকে আবার দল ও সরকারের বিভিন্ন পদে আনেন। মান্নার মতো কেউ কেউ আবার দল থেকেই ছিটকে পড়েন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমে ‘ওয়ান ইলেভেন’-এর ভূমিকার বিষয়টি আনার কারণ জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ব?লেন, ‘প্রত্যেক দ?লেরই কিছু কিছু? বি?শেষ সময় থা?কে, দু?দির্ন থা?কে। তেম?নি আওয়ামী লী?গেরও দুদির্ন বা বি?শেষ মুহূতর্ ছিল ১/১১। ওই সময় যারা দল থে?কে দূ?রে ছিল তা?দের ম?নোনয়ন পাওয়ার কোনো সু?যোগ নেই। ১/১১ তে নিজে?দের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য এই অংশটুকু যুক্ত করা হয়েছে।’