নিবার্চনে যাওয়ার ঘোষণা বাম জোটের

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
‘একতরফা নিবার্চন’ অনুষ্ঠানের ফঁাদে পা না দিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোট নিবার্চনে অংশ নেয়ার কথা জানায়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিরপেক্ষ নিবার্চনের জন্য বাম জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উত্থাপিত দাবির বিষয়ে কোনো সমাধান না করে নিবার্চন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। একে ‘একতরফা নিবার্চনের জন্য সরকারের ফঁাদ’ বলে জনমনে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেই ফঁাদে পা না দিয়ে নিবার্চনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণতান্ত্রিক জোট। সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নিবার্চনে অংশ নেয়া মানে নিবার্চন সুষ্ঠু হবে বলে মেনে নেয়া নয়। অংশ নিচ্ছি সংগ্রামের পদ্ধতিগত অংশ হিসেবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ২০১৪ সালে নিবার্চন না করার কারণ, তখন সেটা ছিল ‘নো’ নিবার্চন। আর এবারের নিবার্চন হচ্ছে ‘ব্যাড’। পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করবে এই জোট। পরিস্থিতি দাবি করলে তারা নিবার্চন বজর্নও করতে পারেন বলে জানান সেলিম। বাম জোটের এ নেতা বলেন, বতর্মান সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন সম্ভব, তা দেশবাসী মনে করে না। এখন যে নিবার্চন হবে, তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ত্রæটিপূণর্ নিবার্চন হবে। এছাড়া মনোনয়নপত্র কেনার সময় শোডাউন করে নিবার্চনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মনোনয়নপত্র বিক্রিতে কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে উল্লেখ করে এতে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহŸান জানান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের নেতা সাইফুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ, আবদুস সাত্তার, হামিদুল হক প্রমুখ। সিপিবির মনোনয়নের আবেদন ১৮ নভেম্বর পযর্ন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রাথীর্ ঠিক করতে আগামী ১৮ নভেম্বর পযর্ন্ত মনোনয়ন আবেদন জমা নেবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির্-সিপিবি। দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথীর্ বাছাই চ‚ড়ান্ত করার জন্য দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে প্রধান করে ১১ সদস্যের মনোনয়ন বোডর্ গঠন করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাখা পযার্য় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পযাের্য়র কমিটির মতামতের ভিত্তিতে আবেদন পাঠাতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে।