নিবার্চন আর পেছাবে না, সিদ্ধান্ত ইসির

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন এক মাস পেছানোর যে দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিবার্চন কমিশনে গিয়েছিল, তা নাকচ করে দিয়েছে ইসি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কমিশনের আলোচনার পর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে আইনি ও সাংবিধানিক কিছু বিষয় রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের দাবির চুলচেরা বিশ্লেষণ ও পযাের্লাচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’ প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং চার নিবার্চন কমিশনার বৃহস্পতিবার সকালে ওই বৈঠকে অংশ নেন বলে জানান সচিব। নিবার্চন কমিশন প্রথম দফার তফসিলে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ঠিক করলেও নিবার্চন এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট। এরপর ইসি নিবার্চন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ঠিক করে পুনঃতফসিল দিলেও তাতে আপত্তি জানায় বিএনপি ও তাদের শরিকরা। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিদেশি পযের্বক্ষকদের এড়িয়ে ‘ভোট চুরির’ নিবার্চন করতেই নিবার্চন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর নিবার্চনের তারিখ দিয়েছে বলে তারা মনে করছেন। তবে নিবার্চন আরও পেছানোর দাবি নাকচ করে প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সেদিন সাফ জানিয়ে দেন, ভোটের তারিখ ৩০ ডিসেম্বরের পর নেয়ার সুযোগ নেই। এরপর ঐক্যফ্রন্ট বিষয়টি নিয়ে নিবার্চন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত জানায়। জোটের প্রতিনিধিরা বুধবার বিকালে প্রায় দুই ঘণ্টা আগারগঁাওয়ের নিবার্চন ভবনে সিইসি ও অন্য নিবার্চন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট। নিবার্চন চলাকালে কমিশনের সহযোগিতা পাবেন বলেই তারা আশা করছেন। তবে এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি সামগ্রিকভাবে একটা কথা বলি, আমাদের নিবার্চনে থাকা না থাকা নিভর্র করছে নিবার্চন কমিশন ও নিবার্চনকালীন সরকারের আচরণের ওপর।’ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পযর্ন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রাথির্তা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পযর্ন্ত। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রাথীর্রা। ভোট ৩০ ডিসেম্বর।