চুয়াডাঙ্গায় চোখ হারানো ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:১৪

যাযাদি রিপোটর্
চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ১৭ জনকে ওষুধ (ট্রাইপেন বøু) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজকে পঁাচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় বহাল রয়েছে। এই রায় স্থগিত চেয়ে আইরিশ এন্টারপ্রাইজের করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি (নো অডার্র) আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোটর্ এক রায়ে ওই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা করে দিতে নিদের্শ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রত্যেককে পঁাচ লাখ টাকা করে ইম্প্যাক্ট এবং বাকি পঁাচ লাখ টাকা চক্ষুশিবিরে অস্ত্রোপচারে অনুমোদনহীন ওষুধ (ট্রাইপেন বøু) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজকে দিতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ইম্প্যাক্ট চোখ হারানো ১৭ জনসহ ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনকে পঁাচ লাখ টাকা করে প্রদান করেছে। অন্যদিকে, পঁাচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে আইরিশ এন্টারপ্রাইজ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ১১ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান। আদালতে আইরিশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। হাইকোটের্ রিট আবেদনকারী আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। ইম্প্যাক্টের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর। গত ২৯ মাচর্ ‘চক্ষুশিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট করেন, যার ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ এপ্রিল হাইকোটর্ ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়সহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলের ওপর চ‚ড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২১ অক্টোবর চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা করে দিতে নিদের্শ দেন হাইকোটর্।