নিপুণসহ ৭ জন ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নয়াপল্টনে সংঘষের্র মামলায় বিএনপির নিবার্হী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ৭ জনকে পুলিশ শুক্রবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় Ñযাযাদি
নয়াপল্টনে সংঘষের্র মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঁাচদিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পঁাচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অ্যাডভোকেট নিপুণ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ এবং সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে। বুধবারের সংঘষের্র ঘটনায় গণমাধ্যমে আসা ছবিতে নিপুণকে লাঠি হাতে মিছিলে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বাকি ছয়জন হলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, রাজধানীর খিলক্ষেত থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ মৃধা, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার যুবদল নেতা আবুল হাশিম সবুজ, বরগুনার তালতলী উপজেলার বিএনপি নেতা আমির হোসেন এবং বিএনপি কমীর্ মো. মহসিন ও মো. মামুনুর রশিদ খোকন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমর্কতার্ এসআই জালালউদ্দিন আহমেদ জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দÐবিধির কয়েকটি ধারায় দায়ের করা পল্টন থানার একটি মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আদালতে রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালমা হাই টুনি বলেন, ‘পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, তা জানতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’ অন্যদিকে বিবাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট নিপুণের বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আমার মক্কেলরা কোনোভাবেই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত নয়। সরকার নিজেরা এসব করে তাদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিয়েছে। বিএনপি নেতাকমীের্দর পক্ষে নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ প্রায় ৩০ জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিবার্চন সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কাযর্ক্রমের মধ্যে বুধবার দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকমীের্দর ব্যাপক সংঘষর্ হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়, ভাংচুর করা হয় অনেক গাড়ি। হেলমেট পরা কয়েকজনকে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগে অংশ নিতে দেখা যায়। পুলিশ বলছে, তারা সবাই বিএনপির কমীর্, যদিও বিএনপি তা অস্বীকার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কমীের্দর দায়ী করেছে। সংঘষের্র ওই ঘটনায় পল্টন থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা হয়, তার তিনটিতেই নিপুণসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আসামি করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজার্ আব্বাস, তার স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকতারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা সামসুদ্দিন দিদার, নিবার্হী কমিটির সদস্য অধ্যাপক অমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবীসহ প্রায় দুশজনেকে রাখা হয়েছে আসামির তালিকায়।