বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনায় মাকির্ন থিংক ট্যাংক

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউরোপিয়ান পালাের্মন্টের পর এবার একটি মাকির্ন থিংকট্যাংক বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করল। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নিবার্চন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীষর্ক এক অনুষ্ঠানে এ সমালোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ওয়াল্ডর্ ভিশনসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমর্কতার্রা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাশার্ বানির্কাটও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে তিনি কোনো কথা বলেননি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক জন সিফটন বলেন, ‘আগামী নিবার্চন সুষ্ঠু ও অবাধ হবেÑ এমন কিছু বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। নিবার্চনের আগে সরকারবিরোধী দলের কমীের্দর আটক করছে এবং মিডিয়া ও সুশীল সমাজের বাকরোধ করতে চাইছে।’ তিনি বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকার শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কিন্তু সরকার হাসিনার মামলা প্রত্যাহার করেছে।’ ওয়াল্ডর্ ভিশনের কমর্কতার্ লরা ব্রামন বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অনেক কিছু করার বাকি আছে।’ তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের নিবার্চনে রাজনৈতিক সহিংতা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য একটি বড় বিপদ এবং এই সহিংসতায় অনেক সময়ে শিশুদের মারাত্মক ক্ষতি হয়।’ প্রশ্নোত্তর পবের্ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান মাহবুব সালেহ সিফটন এবং ব্রামন বিভিন্ন মন্তব্যের জবাব দেন। সরকার নিবার্চনে বিদেশি পযের্বক্ষক চায় না, এমন মন্তব্যের জবাবে সালেহ বলেন, ‘সরকার পযের্বক্ষকদের স্বাগত জানায়।’ বিরোধী দলের নেতাকমীের্দর আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের সংলাপে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। বিরোধী দলের যাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা নেই, প্রধানমন্ত্রী তাদের তালিকা দিতে বলেছেন।’ খালেদা জিয়ার শাস্তি প্রসঙ্গে মাহবুব সালেহ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছে আদালত, সরকার নয়।’ চিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উনাকে আটক করা হয়েছে, কারণ তিনি জনসমক্ষে এমন মন্তব্য করেছেন, যা জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থি ছিল।’ রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান সালেহ বলেন, ‘বহিবিের্শ্বর চাপের কারণে নয়, বরং রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে চায়নি বলে প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।’ শেখ হাসিনার মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে জন সিফটনের মন্তব্যের জবাবে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের দাবি একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর সন্দেহ সৃষ্টির অপপ্রয়াস।’