সাড়ে ছয় হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনা ভাইরাসে গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৬ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের মৃতু্য হয়েছে। এপর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৫৪ জন। করোনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৪৩১ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮০ জনের। এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জন। মোট শনাক্তের হার ১৩.৬৬ শতাংশ। বর্তমানে ৮৫৫ টি পরীক্ষাগার চলমান আছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক দিনে মারা গেছেন ৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাদের বয়স ত্রিশর্ধ্বো ২, পঞ্চাশর্ধ্বো ১, ষাটর্ধ্বো ৩ সত্তুর্ধ্বো ২ ও আশির্ধ্বো ২ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা, দুই জন চট্টগ্রাম ও বরিশালের ১ জন বাসিন্দা। সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে কেউ মারা যায়নি। মৃত ৭ জন সরকারি হাসপাতালে ও ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিলো ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য ছিলো এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার। ২০২০ বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছর এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার। সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।