আজকের যায়যায়দিন

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। ছয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি২০ ক্রিকেটের উত্তেজনাপূর্ণ এই আসরটি শুক্রবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও বরিশালের ফরচুন ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। রাতের ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় খেলবে মিনিস্টার ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স। ফলে শুরুর দিনই মাঠে পাওয়া যাবে সাকিব, তামিম, মাহমুদউলস্নাহ, মুশফিকদের। মাশরাফিরও থাকার কথা ছিল। ঢাকার এই পেসার অনুশীলনে হঠাৎ চোট পান। তাই শুরুর দিকে কয়েক ম্যাচ তাকে ছাড়াই খেলতে হবে ঢাকাকে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট- তিন ভেনু্যতে হবে এবারের বিপিএলের ম্যাচগুলো। মোট ২৭ দিনে মাঠে গড়াবে ৩৪ ম্যাচ। এবারের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ফেব্রম্নয়ারি।

প্রতি আসরেই আসছে বিবর্তন ও চমক। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে অন্য সব কিছুর মতো এবারের বিপিএলেও নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ফলে আসরের আকার, আয়তন ও অবয়ব সবই ছোট হচ্ছে। দর্শক উপস্থিতিও থাকছে না গ্যালারিতে। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা ও ভ্রমণ জটিলতায় এবারের আসরে তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা এবার কিছুটা কম।

করোনাভাইরাসের কারণে মাঝের দুই মৌসুম বিরতি গেছে বিপিএলে। এ টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমে। গত ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় ড্রাফট থেকে এবারের দল নির্বাচন করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এর আগে সরাসরি চুক্তিতে ছয় দল দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নেয়। শক্তিতে ও নামে টুর্নামেন্টে হট ফেভারিট মাহমুদউলস্নাহর ঢাকা, লিটন-মুস্তাফিজদের কুমিলস্না ও সাকিবের বরিশাল। এছাড়া মিরাজের চট্টগ্রাম, মোসাদ্দেকের সিলেট ও মুশফিকের খুলনাকে পিছিয়ে রাখা যাবে না মোটেও।

হাসিনা-তামিম বৈঠক / বাংলাদেশ-কাতার ৫ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

প্রায় একই সময়ে, বিপিএল শুরুর ৬ দিন পর ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পর্দা উঠবে। এজন্য ভালোমানের বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যায়নি। তবে ফাফ ডু পেস্নসি, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলী, সুনীল নারিন ও ডোয়াইন ব্রাভোদের উচ্চমূল্যে নিয়ে চমক দেখিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

বরাবরের মতো এবারো তাই বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে, দায়সারা

আয়োজনে। মাঠে গড়ানোর আগে আয়োজকরা সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন ডিআরএস আনতে না পেরে। বর্তমান সময়ে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ব্যবহার করা হয় ডিআরএস। অথচ বিশাল এ মহাযজ্ঞে সেই সুবিধাটা পাচ্ছেন না খেলোয়াড়রা।

বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার আনার বেলাতেও পিছিয়ে বিপিএল। স্থানীয়দের ওপরই রাখতে হচ্ছে ভরসা। ক্রিকেট ভক্তদের জন্য হতাশার খবর, সাধারণ দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন। কোভিডের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়োজকরা শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের গ্যালারিতে জায়গা দেবে।

এ বছর বিপিএল আয়োজনের পরই আবার দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দল খুঁজবে বিসিবি। বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মলিস্নকের বিশ্বাস, পরবর্তীতে আসর থেকে বিপিএল হবে গোছানো, পরিপাটি। সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে।

মাঠে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউলস্নাহরা আছেন। ফলে দর্শকের চোখ বিপিএলে থাকবেই। গেইল-রাসেলদের ছক্কা বৃষ্টি কেউ কি না দেখতে চান! ফলে প্রায় এক মাসের টি২০টি জ্বরেই যে কাঁপবে বাংলাদেশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টেলিভিশনে দুটি চ্যানেলে দেখা যাবে বিপিএল- জিটিভি ও টি স্পোর্টস।

এবার প্রথমবারের মতো বিপিএল এ থাকছে প্রাইজমানি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও কুমিলস্না যে-ই চ্যাম্পিয়ন হোক, তাদের কোষাগারে জমা হবে ১ কোটি টাকা।

টুর্নামেন্টের মূল পৃষ্ঠপোষক বিবিএস কেবলস, পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন। বৃহস্পতিবার বিসিবির আয়োজনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন করা হয়। এ অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করা হয় টুর্নামেন্টটির টাইটেল স্পন্সরের নাম।

অনুষ্ঠানে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মলিস্নক, মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু, ওয়ালটন গ্রম্নপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম এবং বিসিবি ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নোমান হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।