গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে দু'জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মূল গৃহকর্ত্রীর মৃতু্য হলে কপাল পুড়ে কিশোর গৃহকর্মী ফারজানা আক্তারের। মূল গৃহকর্ত্রীর মৃতু্যর পর তার মেয়ের বাসায় কাজ করতে গেলে কিশোরী গৃহকর্মীর কপালে নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জীবন-মৃতু্যর সন্ধিক্ষণে রয়েছে ওই কিশোরী গৃহকর্মী। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহকর্ত্রীসহ দু'জনকে আটক করেছে। কলাবাগান থানা পুলিশ জানায়, কলাবাগান সেন্ট্রাল রোডের বাসায় লাভলী ইউসুফের বাড়িতে সাত বছর ধরে কাজ করতেন ওই কিশোরী গৃহকর্ত্রী। করোনায় তিনি মারা যান। এরপর তার মেয়ে সুমির বাসায় এক বছর ধরে কাজ করছিল কিশোরী ফারজানা। তাকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন সুমি। বরিশালের বাকেরগঞ্জ থেকে মেয়েকে দেখতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন পিতা বিলস্নাল। পরে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ কিশোরীর পিতার বরাত দিয়ে জানায়, মেয়েকে টয়লেটে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হতো। হত্যার উদ্দেশ্যে হারপিক খাইয়ে দিয়েছিল। কারণে-অকারণে সুমি ও তার ভাই হিরন নির্যাতন করত। পরে সুমি ও তার ভাইকে আটক করা হয়। মেয়েটিকেও উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।