হাইকোটের্র পূণার্ঙ্গ রায় নাজমুল হুদাকে এবার আত্মসমপর্ণ করতে হবে

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
‘সরকারের উচ্চপযাের্য় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুনীির্ত করা হলে তা জাতীয় স্বাথর্, অথর্নীতি ও দেশের ভাবমূতির্র জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।’ দুনীির্তর মামলায় দÐাদেশের বিরুদ্ধে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদার আপিল খারিজ করে হাইকোটের্র দেয়া রায়ে এমন পযের্বক্ষণ এসেছে। ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দÐাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই আপিল করেছিলেন নাজমুল হুদা। আপিল খারিজ করে তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে দেয়া পূণার্ঙ্গ রায়ে হাইকোটর্ এই পযের্বক্ষণ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোটের্র ওয়েবসাইটে রোববার ৬৭ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশ পায়। গেল বছরের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটর্ বেঞ্চ হুদা দম্পতির আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। এরপর রোববার পূণার্ঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়, দুনীির্ত একটি অভিশাপ। সমাজের সবক্ষেত্রে দুনীির্ত দেখা যায়। দুনীির্তর সমাজের নৈতিক অবস্থা নষ্ট করে এবং সরকারি কমর্চারীর দুনীির্ত কেবল নৈতিক অবস্থাই নষ্ট করে না বরং এটি জাতীয় অথর্নীতি ও জাতীয় স্বাথের্র জন্য ক্ষতিকর। সরকারের উচ্চপযাের্য় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুনীির্ত করা হলে তা জাতীয় স্বাথর্, অথর্নীতি ও দেশের ভাবমূতির্র জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘটনা ও তথ্যাদি পযাের্লাচনা করে রায়ে বলা হয়, আপিলের কোনো সারবত্তা পাওয়া যায়নি। আপিল খারিজ করা হলো। বাকি সাজা ভোগ করতে বিচারিক আদালতের রায়ের কপি গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলকারী (নাজমুল হুদা) বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণ করবেন। এতে ব্যথর্ হলে বিচারিক আদালত তার গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদার সাত বছর এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদার তিন বছরের কারাদÐ ও জরিমানা হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন তারা। বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদাকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদÐের আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোটর্। হাইকোটর্ নাজমুল হুদার সাজা সাত বছর থেকে কমিয়ে চার বছরের কারাদÐ এবং তিন বছরের কারাদÐাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যে সময়টুকু সিগমা হুদা কারাগারে ছিলেন, তা সাজাভোগ হিসেবে গণ্য হবে বলা হয়েছে। নাজমুল হুদার আইনজীবী আশানুর রহমান বলেন, হাইকোটের্র পূণার্ঙ্গ রায় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। পূণার্ঙ্গ রায়ের কপি এখনো বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। এই রায় বিচারিক আদালতের গ্রহণ করার ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমপর্ণ করতে বলা হয়েছে। এ হিসেবে ৪৫ দিন সময় আছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মাচর্ ধানমÐি থানায় মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদার সাত বছর কারাদÐ ও অথর্দÐ এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদÐ দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোটের্ আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মাচর্ হাইকোটর্ আপিল মঞ্জুর করে সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। এতে করে ওই মামলায় খালাস পান নাজমুল হুদা দম্পতি। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোটের্র খালাসের রায় বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় হাইকোটর্ আপিল শুনানি করতে নিদের্শ দেন। এরপর ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোটর্ ওই রায় দেন।