বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়ংকর হচ্ছে করোনার সংক্রমণ

এক দিনে সাড়ে ১৫ হাজার সংক্রমিত
ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

দেশে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। তবুও সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলেছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিলেও মানুষ সেগুলোর তোয়াক্কা করছে না। বিধিনিষেধ মানাতে সরকারের জোর পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না। ফলে দিন যত যাচ্ছে করোনার সংক্রমণ তত ভয়ংকর হয়ে উঠছে।

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৭। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ২৭৩ জন। করোনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৯ হাজার ২৭৫ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৩ জনের। এ পর্যন্ত ১ কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ২৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪.১২ শতাংশ। বর্তমানে ৮৬০ টি পরীক্ষাগার চলমান আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক দিনে মারা গেছেন ১৩ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তাদের বয়স দশোর্ধ্ব ১, চলিস্নশোর্ধ্ব ২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩, ষাটোর্ধ্ব ৫, সত্তুরোর্ধ্ব ২, আশির্ধ্বো ১ ও নব্বইর্ধ্বো ৩ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা, ৪ জন চট্টগ্রাম, ১ জন ময়মনসিংহ, রাজশাহী ১ ও খুলনা ১ জন বাসিন্দা। সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে কেউ মারা যায়নি। মৃত ১২ জন সরকারি হাসপাতালে ও ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য

ছিল এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার।

২০২০ বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছর এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।

সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে