বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধাপে ধাপে বাড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রথম ধাপে আগামী ৬ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই করোনায় সংক্রমণ ও মৃতু্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ অবস্থায় চলমান ছুটি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত বিগত সময়ের মতোই ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ামাত্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান শুরু করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিলম্ব করা হবে না। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবেই পর্যবেক্ষণ রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিতই কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ ও মতামত নেওয়া হচ্ছে।

পরামর্শক কমিটির সুপারিশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হবে না। শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম আবার শুরু করা হচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এর আওতায় আনা হবে। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি'কে) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইন ক্লাসের জন্য আগের চেয়ে শিক্ষকদের অনেক বেশি 'বেল্ডেন্ডেড এডুকেশনের' ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতক্ষণ না শ্রেণিকক্ষের পাঠদান শুরু করা যায় ততক্ষণ অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করতে হবে।

করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে সরকার সংসদ টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে শিক্ষকদের পাঠদান সম্প্রচার করলেও দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এর আওতায় আসেনি। রাজধানী ও বড় শহরের কিছু শিক্ষার্থী এ সুবিধা পেলেও, দেশের শতভাগ শিক্ষার্থী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এ অবস্থায় শিক্ষাবিদদের মত হচ্ছে, সরকারকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডিভাইস দিয়ে অনলাইন ক্লাসে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে