২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশটির ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বুধবার মোদিকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, 'বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং ভারতের জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।'
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'গত বছর ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মার্চে আপনার (মোদি) ঢাকা সফরের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। এসব উপলক্ষগুলোতে আপনার (মোদি) উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পাশাপাশি আমাদের চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুসংহত করেছে।'
বঙ্গবন্ধুকন্যা শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থনের বিষয়টি উলেস্নখ করে লিখেন, '১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার এবং জনগণ যে সমর্থন দিয়েছিল তা আমাদের অনন্য সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র
হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের যৌথ উদযাপন এই বিশেষ সম্পর্ককে তুলে ধরেছে।'
শেখ হাসিনা আরও লিখেন, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং আস্থার জায়গা আরও শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারি চলাকালীন সময়েও আমাদের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। আগামী ৫০ বছর দুই দেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে একযোগে এগিয়ে যাবে।'
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়। দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে ভারত।
ঢাকায় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
এদিকে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে। বুধবার ভারতীয় হাইকমিশন তাদের বারিধারার ভারতীয় চ্যান্সেরি কমপেস্নক্সে এ দিবস উদযাপন করে।
দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে দেওয়া দেশটির রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন।
ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকরা কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গণতন্ত্র দিবস উদযাপনে যোগ দেন এবং তাদের পরিবেশনায় একটি দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান হয়।
করোনার মধ্যেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য হাইকমিশনার সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
