শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

র্যাবের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইইউতে দেওয়া চিঠি ব্যক্তিগত : রাষ্ট্রর্দূতযাবের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইইউতে দেওয়া চিঠি ব্যক্তিগত : রাষ্ট্রদূত

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক বাংলাদেশেরর্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি দেন। ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানান, 'এটি একটি ব্যক্তিগত চিঠি। এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।'

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।

রাষ্ট্রদূত বলেন, র্'যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে চিঠির ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি ব্যক্তিগত চিঠি। একজন ব্যক্তির অবশ্যই ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি, এটিও তাই।র্ যাবকে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা নিয়ে আমার কোনো

মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'

র্

যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রম্নত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হোয়াইটলি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, 'নির্বাচন সব সময় আগ্রহের একটা জায়গা। বাংলাদেশ সরকার ও অন্যদের সঙ্গে ইইউর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনসহ এই প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সারা বিশ্বে ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকে। আমরা বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারব বলে আমি মনে করি।'

সম্প্রতি ঢাকা থেকে বিদায় নেওয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের সাক্ষাতে গেলে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ডক্টর মোমেনের এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানান ইইউর রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, 'নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর মোমেনের বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।'

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, র?্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক ইইউর পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বরাবর চিঠিটি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের অমানবিক আচরণ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য।

এই পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই মারাত্মক। কারণ, মার্কিন সরকার বর্তমান পুলিশের আইজিপি যিনি আগে র?্যাবের প্রধান ছিলেন, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বিশেষত টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হককে ২০১৮ সালের মে মাসে হত্যা করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ম্যাগনিটাইনেজ গেস্নাবাল প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের আরও পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিনেট সদস্য বছরের পর বছর ধরে র?্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলছিলেন।

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে, পুলিশ ও র?্যাবের দ্বারা ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত এক হাজার ১৩৪টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমি আপনাকে র?্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আপনার ক্ষমতা ব্যবহারের অনুরোধ করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে