সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যথাযথ মযার্দা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে। আজ দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘঁাটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘঁাটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কমর্সূচি শুরু হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সবাির্ধনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বলা হয়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসগর্কারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনিবাের্ণ পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মাশার্ল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনিবাের্ণ পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসস্থ আমির্ মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নিবাির্চতসংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবধর্না জানাবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৯ জন সেনা, ১ জন নৌ এবং ৩ জন বিমানবাহিনী সদস্যকে ২০১৭-২০১৮ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করবেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান, বিমানবাহিনীপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিশেষ সহকারী, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কমর্কতার্গণ উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক বৈকালিক সংবধর্নার আয়োজন করেছেন। এতে উল্লেখযোগ্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিত্বগণের মধ্যে রয়েছেনÑ জাতীয় সংসদের ¯িপকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতিগণ, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমযার্দা সম্পন্ন ব্যক্তিবগর্, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমযার্দাসম্পন্ন ব্যক্তি, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, আন্তজাির্তক সংস্থার প্রধানগণ, প্রধান নিবার্চন কমিশনার ও নিবার্চন কমিশনারগণ, বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মুখ্য সচিব, সংসদ সদস্য (ঢাকা এলাকার এবং সাবেক সামরিক কমর্কতার্গণ)। এ ছাড়াও বাহিনীত্রয়ের সাবেক প্রধানরা, ২০১৭ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবগর্, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবগর্, স্বাধীনতা যুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারীগণ, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবতীর্ সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কমর্কতার্/তাদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কমর্কতার্গণ এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কমর্কতার্বৃন্দও আমন্ত্রিত। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্র্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনীপ্রধান নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের উত্তরাধিকারীদের অনুরূপ সংবধর্না প্রদান করবেন। ঢাকা ছাড়াও বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা ও রাজেন্দ্রপুর (গাজীপুরসহ) সেনানিবাসসমূহেও সংবধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, দিনটি যথাযোগ্য মযার্দায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে, দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘঁাটিতেও বিভিন্ন কমর্সূচি নেয়া হয়েছে। ঢাকা, খুলনা, চঁাদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ আগামীকাল বিকাল ২টা থেকে সূযার্স্ত পযর্ন্ত সবর্সাধারণের পরিদশের্নর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ উপলক্ষে আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপযর্ তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর সশস্ত্র বাহিনীর পরিবেশনায় ‘‘বিশেষ অনিবার্ণ’’ অনুষ্ঠান স¤প্রচার করবে। বাংলাদেশ বেতার কাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ‘বিশেষ দুবার্র’ অনুষ্ঠান স¤প্রচার করবে। এ ছাড়াও ‘বিশেষ অনিবার্ণ’ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহে পরবতীর্স সময়ে পযার্য়ক্রমে স¤প্রচারিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে আগামীকালের বাংলা ও ইংরেজি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। এ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্র বাসস