৩ মাস পর মুক্তি পেলেন শহিদুল

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:১৬

যাযাদি রিপোটর্
জামিনের কাগজের ঠিকানা জটিলতার অবসানের পর কারামুক্ত হলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। মঙ্গলবার রাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। তিন মাস আগে গ্রেপ্তারের পর এই কারাগারেই ছিলেন তিনি। হাইকোটর্ থেকে জামিন পাওয়ার পর শহিদুলের স্বজন ও বন্ধুরা মঙ্গলবার সকাল থেকে কেরানীগঞ্জের কারাগারের সামনে প্রতীক্ষায় ছিলেন; কিন্তু তার মুক্তি মিলছিল না। ঢাকার জেলার মাহবুবুল আলম সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘যে জামিনের কাগজ আমাদের কাছে এসেছিল, তার ঠিকানার সঙ্গে জেলখানায় থাকা ঠিকানার কোনো মিল নেই। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট আদালতে তা সংশোধনের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। সংশোধন হয়ে আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সংশোধিত নথি আসার পর তা যাচাই করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহিদুলকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জেলার জানান। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার শহিদুলকে গত ১৫ নভেম্বর জামিন দেয় হাইকোটর্। তার জামিন প্রশ্নে এক মাস আগে অন্য একটি বেঞ্চের দেয়া রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবতীর্র বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের মধ্যে গত ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘষের্র বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এরপর ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা করে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠায়। ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোটের্ জামিন আবেদন করলে ৩ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ৭ অক্টোবর হাইকোটর্ শহিদুল আলমের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। কেন জামিন দেয়া হবে নাÑ তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের ওপর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোটর্ বেঞ্চে শুনানি শুরু হলেও গত ১ নভেম্বর মামলাটি ওই বেঞ্চের কাযর্তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এরপর সহিদুল আলমের আইনজীবীরা বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবতীর্র হাইকোটর্ বেঞ্চে গিয়ে নিজেদের পক্ষে আদেশ পান। শহিদুলের মুক্তির জন্য নোবেলজয়ী অমত্যর্ সেনসহ বিশ্বের নানা অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় অনেকে সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছিলেন।