গুমের অভিযোগ খতিয়ে দেখল জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রম্নপ

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ১৭ অভিযোগ

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রম্নপের ১২৬তম অধিবেশনে ১৭টি গুমের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৭ থেকে ১১ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠিত ওই অধিবেশনে খতিয়ে দেখা অভিযোগগুলোর দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রম্নপের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ওয়ার্কিং গ্রম্নপ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে জরুরি পদক্ষেপমূলক প্রক্রিয়ার আওতায় এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দেশকে জানিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার যে জবাব দিয়েছে, সেগুলো নিয়েও ওয়ার্কিং গ্রম্নপের অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে। ওই অধিবেশনে ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গুমের আরও ৭২৭টি অভিযোগ নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। তার মধ্যে জরুরি পদক্ষেপমূলক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নতুন গুমের অভিযোগের পাশাপাশি পূর্ববর্তী বিষয়ের হালনাগাদ করা তথ্য রয়েছে। এসব অভিযোগের তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশ হলো- আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, চীন, কলম্বিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইকুয়েডর, মিসর, এল সালভাদর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাটভিয়া, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভেনেজুয়েলা। অধিবেশনে নতুন কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেন সফর নিয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছে তার ফলোআপ প্রতিবেদন তৈরি, নতুন প্রযুক্তি ও গুম নিয়ে বিষয়ভিত্তিক নতুন প্রতিবেদন তৈরি এবং গুম থেকে সব ব্যক্তিকে সুরক্ষাসংক্রান্ত ঘোষণা ১৯৯২-এর ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মূল্যায়নভিত্তিক গবেষণা করা। মানবিক নীতিবোধের জায়গা থেকে ওয়ার্কিং গ্রম্নপ বিভিন্ন দেশে সরকার-বহির্ভূত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গুমের সমতুল্য কর্মকান্ড নথিবদ্ধ করা এবং তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনের সানা কর্তৃপক্ষকে এমন তিনটি বিষয় অবহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ার্কিং গ্রম্নপ। বিভিন্ন সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করেছে তারা। ওয়ার্কিং গ্রম্নপের বিশেষজ্ঞরা গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৯৮০ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মানবাধিকার কমিশন এই ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠন করেছিল। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিণতি কী হয়েছে, তারা কোথায় আছেন, সে ব্যাপারে জানতে তাদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার লক্ষ্যে গ্রম্নপটি গড়ে তোলা হয়েছিল। গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সরকারের মধ্যে যোগাযোগের পথ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এর মধ্য দিয়ে প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করা এবং গুম হওয়া ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়। গুমের ঘটনা থেকে সব ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেওয়া-সংক্রান্ত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে দেশগুলোকে সহযোগিতাও করে থাকে এ ওয়ার্কিং গ্রম্নপ।