শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বৈশ্বিক মহামারি মধ্যে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২২। আজ বিকাল ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মেলার সময় পিছিয়ে ১ ফেব্রম্নয়ারির পরিবর্তে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে 'অমর একুশে বইমেলা ২০২২' উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। দেশের করোনা সংক্রমণের চলমান নিম্নগতি অব্যাহত থাকলে পরবর্তীতে মেলার মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে আজ অমর একুশে বইমেলার আটত্রিশতম আসরের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

এবার অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী'। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হবে।

মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে উলেস্নখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এবার ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর। একই সঙ্গে এ বছর বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চাশ বছরও। ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও সংবিধান প্রাপ্তির এই বিশেষ সময়ে বাঙালিত্বের চেতনা জাগানিয়া বইমেলার আয়োজন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে করোনা মহামারির কারণে এবার বইমেলা অয়োজেন অনেকটাই

অনিশ্চিত ছিল। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আন্তরিকতায় শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২২।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'করোনাসংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবার মেলায় মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে সংক্রমণ কমলে বইমেলার সময় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারব। এছাড়াও বর্তমানে সংক্রমণ যে হার অব্যাহত আছে তা বজায় থাকলে সময়সীমা আরও কিছুটা বাড়ানো হবে'।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে আয়োজক বাংলা একাডেমি গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রন্থ উন্মোচন, লেখক বলছি মঞ্চ, নতুন বইয়ের স্টল, শিশু চত্বর, পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, পর্যাপ্ত প্রবেশ ও বাহির পথ, আশ্রয় কেন্দ্র, পার্কিং ব্যবস্থা, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, নামাজ ঘর, টয়লেট ব্যবস্থা, হুইল চেয়ার ও ফুডকোর্ট ব্যবস্থা থাকবে।

তবে এবার বেশকিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। যেমন অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এর মূল প্রতিপাদ্য, বঙ্গবন্ধু-গ্রন্থভুক্ত হস্তলিপি বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহার, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটি একটি প্যাভিলিয়ন, স্বাস্থ্যবিধি পালনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়াসহ এ বছর লিটল ম্যাগাজিনের স্টল উদ্যানের এম্ফি থিয়েটারের পূর্বদিকে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

আয়োজকদের তথ্যনুযায়ী এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট; মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মেলায় ৩৫টি প্যাভিলিয়ন ও লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১২৭টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রথম দিকে 'শিশুপ্রহর' থাকবে না।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বাহির পথ থাকবে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ,র্ যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

১৫ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এবং ২১ ফেব্রম্নয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে