'টার্গেট করা মানুষের ৮৫ শতাংশ টিকা পেয়েছে'

রাজধানীর ৪ হাসপাতালে ১২৬টি ডায়ালাইসিস বেড উদ্বোধন

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষকে টিকার আওতায় আনার টার্গেট ছিল তার ৮৫ ভাগকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশ্বের অনেক দেশে ৫০ ভাগ মানুষও টিকা পায়নি জানিয়ে তিনি আফ্রিকার দেশগুলোর কথা উলেস্নখ করে বলেন, সেখানে মাত্র ১২ ভাগ মানুষ টিকা পেয়েছে। সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মাঠে ঢাকার চারটি সরকারি হাসপাতালে নতুন করে ১২৬টি ডায়ালাইসিস বেড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, 'দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমরা দিতে পেরেছি। টিকার জন্য আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৫৫ লাখ, তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশকেই আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। আমাদের হাতে এখনো মজুদ আছে দশ কোটি টিকা। এরপরও বেশকিছু লোক এখনো টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে অনীহা আছে। আমি আহ্বান করব, এখনো যারা টিকা নেননি, তারা যাতে দ্রম্নত টিকা নিয়ে নিন।' স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে উলেস্নখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'এ লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগির অনুমোদনও হয়ে যাবে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস, ১০টি করে আইসিইউ যোগ করছি। সব মিলিয়ে জেলা হাসপাতালগুলোয় নতুন করে সাড়ে ছয়শ' করে আইসিইউ ও সাড়ে ছয়শ' করে ডায়ালাইসিস চালু হবে।' মন্ত্রী আরও বলেন, 'করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলো আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ।' অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, 'ঢাকার মানের চিকিৎসা সেবা এখন বিভাগীয় শহর থেকে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্রম্নততার সঙ্গে দেশের প্রান্তিক মানুষকে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবার আওতায় নিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা। সে অনুযায়ী এই করোনাকালেও স্বাস্থ্য খাতে ৪০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।' সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহম্মদ খুরশিদ আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর আহমেদুল কবীরসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।