লাঙ্গলের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতা পেলেন রাঙ্গা

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় পাটির্র প্রাথীের্দর চূড়ান্ত মনোনয়ন ক্ষমতা নতুন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দিয়েছেন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে নতুন মহাসচিব ঘোষণার পর একাধিক দলীয় প্রাথীর্র চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা তৈরির প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নিল জাতীয় পাটির্। দলটির ‘চূড়ান্ত মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দে’ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নতুন তালিকা পাওয়ার কথা জানিয়ে ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, এর ফলে আগের মহাসচিবের চূড়ান্ত মনোনয়নের ক্ষমতা আর থাকছে না। ‘জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ক্ষমতা দিয়ে নতুন চিঠিটি কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যথাসময়ে রিটানির্ং কমর্কতাের্দর তা জানানো হবে।’ আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নিবার্চনে বিভিন্ন আসনে জাতীয় পাটির্র চূড়ান্ত প্রাথীর্ কে, সে সিদ্ধান্ত জানানোর এখতিয়ার কাগজে-কলমে ছিল সদ্য সাবেক হওয়া মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের হাতে। গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসিকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছিলেন, দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে মহাসচিব (তৎকালীন) হাওলাদারই তার দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তারপর ২৮ নভেম্বর পযর্ন্ত হাওলাদারের প্রত্যয়নেই রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন লাঙ্গলের ২৩৩ জন প্রাথীর্; তার মধ্যে ১৫৫ জন ইসির বাছাইয়ে উত্তীণর্ হন। বিভিন্ন আসনে একাধিক প্রাথীর্ এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হওয়ার পর জাতীয় পাটির্র চূড়ান্ত প্রাথীর্ কে থাকছেন, তা হাওলাদারেরই জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর নিজের ‘বিশ্বস্ত ও সন্তানতুল্য’ হাওলাদারকে মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে সভাপতিমÐলীর সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সোমবার ওই পদে বসান এরশাদ। আকস্মিক এই পরিবতের্নর পর প্রশ্ন ওঠে, ৯ ডিসেম্বরের আগে লাঙ্গল প্রতীকের প্রাথীের্দর চূড়ান্ত মনোনয়ন কে দেবেন। সেই প্রশ্নের সুরাহা করতেই বুধবার ইসিতে ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি’ বদলের চিঠি পাঠান এরশাদ। মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালেই এ সংক্রান্ত চিঠি ইসিতে পাঠানো হয়েছে।’ আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত দলের সবগুলোই অংশ নিচ্ছে। দলীয় প্রাথীর্ প্রত্যয়নে অধিকাংশ দলই একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। কোনো দল সভাপতি বা চেয়ারম্যানকে, কোনো দল সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিবকে ওই দায়িত্ব দিয়েছে। কয়েকটি দল আরও একাধিক ব্যক্তিকে প্রত্যয়নের ক্ষমতা দিয়েছে। ইসি কমর্কতার্রা জানান, রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছেই দলীয় প্রত্যয়নে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পদবি, নাম ও নমুনা স্বাক্ষর দিতে হবে। পাশাপাশি নিবার্চন কমিশনেও তার অনুলিপি দিতে হবে। দলের প্রত্যয়ন ক্ষমতা যার কাছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনুস আহমদ সেখ, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিডিপির এম এ হোসেন, এনপিপির শেখ ছালাউদ্দিন ছালু, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আয়াতুল্লাহ, জাকের পাটির্র মোস্তফা আমির ফয়সাল, গণফ্রন্টের জাকির হোসেন মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাগপার তাসমিয়া প্রধান ও লুৎফুর রহমান খন্দকার, এলডিপির অলি আহমদ, জেএসডির আ স ম রব, বিএনপির মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, কল্যাণ পাটির্র এম এম আমিনুর রহমান, আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা, জেপির শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া ও গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবেন। জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবু লায়েস মুন্না, ন্যাপের আমিনা আহমেদ, বিকল্পধারার আবদুল মান্নান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়াকার্সর্ পাটির্র সাইফুল হক, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের জুবাইদা কাদের চৌধুরী, জাতীয় পাটির্র মসিউর রহমান রাঙ্গার হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে। আর তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ রেজাউল হক চঁাদপুরী এবং বাংলাদেশ জাতীয় পাটির্র এমএ মুকিত, এ এন এম সিরাজুল ইসলাম ও জাফর আহম্মদ জয় দলের প্রাথীের্দর চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতা রাখেন।