কোন আসনে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ কারা জানা যাবে আজ

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রাথীর্ কারা হচ্ছেন, তা জানা যাবে আজ। এ বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দলের ও জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দলের ও জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শুক্রবার মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা চিঠি পাবেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার প্রাথীর্ অনেক। এর মধ্য থেকে যোগ্যপ্রাথীর্ বাছাই করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের সভাপতি সাত বছর ধরে জরিপ প্রতিবেদন প্রতি ছয় মাস পরপর সংগ্রহ করেছেন। পঁাচ-ছয়টি বিদেশি কোম্পানি এই জরিপের কাজ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনগুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে। ছয় মাস পরপর আপডেট করার পর আওয়ামী লীগের প্রাথীর্র গ্রহণযোগ্যতা মাপা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জরিপ শুধু আওয়ামী লীগের ওপর হয়নি, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রাথীর্র ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য দলের জনমত জরিপ বিবেচনা করা হয়েছে। শরিকদের সঙ্গেও বোঝাপড়া হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ একটি সমঝোতা করতে পেরেছে। মনোনয়ন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে টানাপড়েন দেখা যায়নি। তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রাথীর্ বিতকের্র কারণ হতে পারে, এই ভেবে দল অনেক প্রাথীর্র পরিবতর্ন এনেছে। মনোনয়নে রাজনীতির বিজয় হয়েছে আওয়ামী লীগের। কাজেই আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা নেই। কিছু কিছু জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে। কারণ জোটের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক আসনে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এবারের নিবার্চনে আমাদের বিজয়ের বিকল্প নেই। আমাদের পরাজয় ২০০১ সালের অন্ধকার, আমাদের পরাজয়ে বাংলাদেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে। আমাদের প্রতিপক্ষের ২০০১, ২০১৪ সালে যে বিভীষিকা, রক্তপাত, সন্ত্রাস, দুনীির্ত- আমরা কি সে অমানিশার অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই? চাই না। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ দলের নেতা-কমীের্দর সতকর্ থাকার আহŸান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির কাছে রাজনীতির একটি বড় অস্ত্র আছে, সেটা হলো ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার। এ জন্য সতকর্ থাকতে হবে। বিরোধীরা নাশকতা করতে পারে, সহিংসতা করতে পারে। শুরুটা তারাই (বিএনপি) করেছে। তফসিলের পর পল্টনের তাÐব। এটা যারা করতে পারে, তারা দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের পঁায়তারা করেছে। ড. কামাল হোসেন বিএনপির রাজনীতির কাছে আত্মসমপর্ণ করেছেন বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন এখন নেতা নন, নিবার্চনও করছেন না। তাহলে বিএনপির নেতা হচ্ছেন পলাতক, দÐিত আসামি তারেক রহমান। তঁার নিদেের্শ কামাল হোসেন এখন কথাও বলেন না। তারেক রহমানের নিদেের্শ কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টু পরিচালিত হচ্ছেন। হায় রে কী লজ্জা। বাংলাদেশের জনগণ কি এত বোকা? এই মানুষগুলোর অসহায় আত্মসমপর্ণ ‘খুনির’ কাছে, দুনীির্তর কাছে। তঁারা নাকি পাহারা দিতে আসবেন, আমরাও কেন্দ্র রক্ষা করব। আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবেÑবিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘মিজার্ ফখরুল আওয়ামী লীগকে ৩০ আসনের বেশি দিতে চান না। ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন ২৯ আসন। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় থেকে প্রতিপক্ষকে এত আসন দেবোÑএই অহঙ্কারী উচ্চারণ একবারও করিনি। জনগণই ঠিক করবে কাকে কত আসন দেবে।’ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন।