তৃতীয় দফার নমুনা আশানুরূপ ডিম দেয়নি মা মাছ, হতাশ সংগ্রহকারীরা

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২২, ০০:০০

ম হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আবারও তৃতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। সোমবার ভোর ৫টা থেকে হালদা নদীর ভাটার শেষ ও জোয়ারের শুরু থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর নয়াহাট, মাছুয়াঘোনাবাঁক, নাপিতের ঘাটা, আমতুয়া, রামদাশ হাট অংশে নমুনা ডিম পাওয়া গেছে ডিমসংগ্রহকারীদের জালে। সরেজমিন দেখা গেছে, হালদা নদীজুড়ে শত শত ডিমসংগ্রহকারী ডিম ধরার নৌকা, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ডিম সংগ্রহে ব্যস্ত। সংগ্রহকারীরা তা বালতি, বাঁশের ছাঙ্কসহ সুবিধামতো পাত্রে ডিম সংরক্ষণ করছেন। নৌকা প্রতি গড়ে আধাকেজি করে ডিম সংগ্রহ হচ্ছে। তবে এবারও আশানুরূপ ডিম না পাওয়ায় ডিম সংগ্রহকারীরা হতাশ। পুরোদমে ডিম না ছেড়ে এভাবে দফায় দফায় ছাড়লে ডিম সংগ্রহকারীরা লোকসানের শিকার হন। নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের ভাড়া দ্বিগুণ হয়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল না আসায় মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়ছে না। তবে তৃতীয় দফায় সংগৃহীত ডিম হ্যাচারীতে সংরক্ষণ করার আশা ব্যক্ত করেন অধিকাংশ ডিম সংগ্রহকারী। এটাকেও নমুনা ডিম উলেস্নখ করে বজ্রসহ বৃষ্টি কিংবা পানির ঢল ছাড়া পুরোদমে ডিম ছাড়বে না জানিয়ে ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর, তৈয়্যব, নুরুল আলম বলেন, আশানুরূপ ডিম পাওয়া যায়নি। মা মাছ পরিবেশ অনুকূলে পেলেই পুরোদমে ডিম ছাড়বে। মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা জানান, সরকারি হ্যাচারীর কুয়ায় অনেকে ডিম সংরক্ষণ করছেন। তবে পরিমানে অনেক কম। সরকারি হ্যাচারী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম বলেন, ভোর থেকেই নদীতে অবস্থান করছি। ডিম সংগ্রহকারীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এখনো পূর্ণাঙ্গ ডিম ছাড়েনি মা মাছ। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেই পুর্ণাঙ্গ ডিম ছাড়বে বলে আশা করছি। এদিকে প্রতিদিনের মতো দিন-রাত হালদা পাড়ের কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী শত শত নৌকা, বাঁশের ভোরকাসহ ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে অবস্থান করবেন বলে জানান তারা। রোববার দুপুরে অনেককেই ডিম সংগ্রহকালে নৌকা, বাঁশের ভোরকায় দুপুরের খাবার খেতে দেখা গেছে।