শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

কিংবদন্তির মহাপ্রস্থান

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ মে ২০২২, ০০:০০
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। জন্ম :১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪; মৃতু্য :১৯ মে ২০২২

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি- ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা কালজয়ী এ গানের রচয়িতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ শুক্রবার লন্ডনের ব্রিকলেনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

৮৭ বছর বয়সি গাফ্‌ফার চৌধুরী ১৯৭৪ সাল থেকে ব্রিটেনে বসবাস করছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। সপ্তাহ পাঁচেক আগে তার কন্যা বিনীতা চৌধুরী বিনুকে হারিয়ে তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। হয়তো সে শোক সামাল দিতে না পেরেই তিনি এ ধরণী ছেড়ে দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন।

বরেণ্য এ সাংবাদিকের মৃতু্যতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃতু্যতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারাল। তার একুশের অমর সেই গান বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলনে অসীম সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্ট। লেখনীর মাধ্যমে তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন।'

অপর এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী তার মেধা-কর্ম ও লেখনীতে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃতু্য কাজ করে গেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক জয় বাংলা পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। পরে তিনি প্রবাসে থেকেও তার লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও

বলেন, 'আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর সঙ্গে আমার বহু স্মৃতি। অনেক পরামর্শ পেয়েছি। একজন বিজ্ঞ ও পুরোধা ব্যক্তিত্বকে হারালাম, যিনি তার লেখা ও গবেষণায় আমাদের বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।'

বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বাঁক বদলের সাক্ষী গাফ্‌ফার চৌধুরী ছিলেন একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করলেও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তার কলম সোচ্চার ছিল বরাবর। প্রবাসে থেকেও ঢাকার পত্রিকাগুলোতে তিনি যেমন রাজনৈতিক ধারাভাষ্য আর সমকালীন বিষয় নিয়ে একের পর এক নিবন্ধ লিখে গেছেন, তেমনি লিখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া গাফ্‌ফার চৌধুরী মৃতু্যর আগ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মিডলসেক্সে এজোয়ার এলাবার মেথুইন রোডের ৫৬ নম্বর বাড়িতে বসবাস করতেন।

ছাত্রজীবনে লেখালেখিতে হাতেখড়ি হয়েছিল তার। ১৯৪৯ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত মাসিক সওগাত পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালে সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস 'চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান'।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর সাংবাদিকতায় হাতেখড়িও ছাত্রজীবনে। ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালে যোগ দেন দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায়। ১৯৫১ সালে যোগ দেন খায়রুল কবীর সম্পাদিত দৈনিক সংবাদের বার্তা বিভাগে। ১৯৫৬ সালে যোগ দেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাকে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী কলমযোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মডারেটরের ভূমিকাও পালন করেন। স্বাধীনতার পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনপদের প্রধান সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী।

তিনি ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে পাড়ি জমান। ১৯৭৬ সালে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী সেখানে 'বাংলার ডাক' নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। 'সাপ্তাহিক জাগরণ' পত্রিকায়ও কিছু দিন কাজ করেন। পরে তিনি 'নতুন দিন' ও 'পূর্বদেশ' পত্রিকা বের করেন। প্রবাসে থাকলেও গাফ্‌ফার চৌধুরী আমৃতু্য বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত লিখে গেছেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নানা সভা-সেমিনারে।

গাফ্‌ফার চৌধুরী ইউনেস্কো পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।

যুক্তরাজ?্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সা?জিদুর রহমান ফারুক জানান, য?দি ডেথ সা?র্টিফি?কেটসহ হাসপাতাল ও ফিউনা?রেল সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় এবং উনার সন্তানদের সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় তাহলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বা বাদ আসর ব্রিক?লেন মসজি?দে আব্দুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা ও দাফন হ?তে পা?রে।

গাফ্‌ফার চৌধুরীর দীর্ঘদি?নের ঘনিষ্ঠজন, যুক্তরাজ?্য আওয়ামী লী?গের সভাপ?তি সুলতান মাহমুদ শরীফ ব?লেন, সব?শেষ উনার মে?য়ে বিনুর মৃতু্যর পরও লন্ডনে নিযুক্ত বাংলা?দে?শের হাইকমিশনারের বাসায় গাফ্‌?ফার চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হ?য়েছে। মে?য়ে বিনীতা চৌধুরী বিনু?কে হারিয়ে বিমর্ষ হ?য়ে পড়ে?ছি?লেন তি?নি।

যুক্তরাজ?্য যুবলী?গের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহ?মেদ খান জানান, বিনু ছি?লেন গাফ্‌?ফার চৌধুরীর পিতৃভক্ত কন?্যা। ?বিনুই বাবার সঙ্গে থে?কে তার দেখভাল কর?তেন। বিনু?কে হারি?য়ে একেবারেই মুষড়ে প?ড়ে?ছি?লেন তি?নি।

যে ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে গেল : পঁচাত্তরের আগস্ট ট্র্যাজেডি নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবন নিয়ে চেয়েছিলেন আরেকটি সিনেমা বানাতে, কিন্তু তা আর হলো না। তার আগেই তাকে চিরতরে বিদায় নিতে হলো।

গাফ্‌ফার চৌধুরী তার স্বলিখিত রাজনৈতিক উপন্যাস 'পলাশী থেকে ধানমন্ডি' অবলম্বনে ২০০৭ সালে একটি টিভি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। তাতে অর্থায়ন করেছিল শেখ মুজিব রিসার্চ সেন্টার, লন্ডন। তার আগে ২০০৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি নাটক করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। পরে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। লন্ডনের এক সাংবাদিকের পরামর্শে সেই চলচ্চিত্রের নাম দেন 'দ্য পোয়েট অব পলিটিক্স'। কিন্তু অর্থের সংস্থান করতে না পারার কারণে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সিনেমাটির কাজ আর এগোয়নি।

বছর দুই আগে এক সাক্ষাৎকারে গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে তিনি হাল ছাড়েননি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা আর হয়ে উঠেনি।

'পলাশী থেকে ধানমন্ডি'তে বঙ্গবন্ধু চরিত্রে নেওয়া হয়েছিল পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 'পোয়েট অব পলিটিক্সে' বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনকে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল গাফ্‌ফার চৌধুরীর। কিন্তু বাজেটে কুলাতে না পেরে তাকে আর প্রস্তাবেই দেওয়া হয়নি।

২০২০ সালে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেছিলেন, টালিগঞ্জের নির্মাতা গৌতম ঘোষের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। বাংলাদেশ কিংবা ভারতের কোনো শিল্পীকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে নির্বাচন করে সিনেমার কাজ শুরু করবেন। পরে গাফ্‌ফার চৌধুরীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজটি থমকে ছিল। মাসখানেক আগে গৌতম ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিনেমাটি নিয়ে গাফ্‌ফার চৌধুরীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে; তবে কাজটি তারা শুরু করেননি। পরে গাফ্‌ফার চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই উদ্যোগ ফের থমকে যায়; আর তার মৃতু্যতে সিনেমাটির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জীবদ্দশায় সিনেমার অর্থ সংস্থানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা চেয়েও সাড়া পাননি বলে আফসোস করেছিলেন গাফ্‌ফার চৌধুরী। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'পরিচিত মন্ত্রী ও সেক্রেটারিদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা খুব একটা উৎসাহ দেখাননি। এর আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে 'পলাশী থেকে ধানমন্ডি' ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে 'দুর্গম পথের যাত্রী' করার সময়ও সরকার বা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। সেই চলচ্চিত্রগুলো 'ডোনেশনের' টাকায় করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'তারপর দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছবি করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করতে সরকার খুব একটা আগ্রহী নয়।' চিত্রনাট্যের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনাও করার কথা ছিল গাফ্‌ফার চৌধুরীর। সিনেমার প্রাথমিক বাজেট ধরেছিলেন ১০ কোটি টাকা; ব্র্যাকের স্যার ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। তিনি অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। তবে মাঝে ফজলে হাসানের মৃতু্য হলে কয়েকজন ব্যবসায়ী বন্ধুর সহযোগিতা নিয়ে সিনেমাটি করার চিন্তা ছিল তার।

এদিকে ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মো. মশিউর রহমান। তিনি তার শোকবার্তায় বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি জাতিসত্তার অর্জন ও বিকাশে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি যেমন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন, তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

বর্ষীয়ান লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জনপ্রিয় কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃতু্যর খবর শোনার পরপরই এ শোকবার্তা দেন তিনি।

শোক প্রকাশ করেছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ (ডিআরইউ) বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

গাফ্‌?ফার চৌধুরীর মৃতু্যতে ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুন?জের আহমদ চৌধুরী গভীর শোক ও সম?বেদনা জানি?য়ে ব?লে?ছেন, তার মৃতু্য?তে বাংলা সাংবা?দিকতা এক দিকপাল?কে হারাল?।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে