পিকে হালদারসহ ১০ আসামিকে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
আলোচিত অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ পলাতক ১০ আসামিকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত এ আদেশ দেন। অপর ৯ আসামি হলেন- লীলাবতী হালদার (পিকে হালদারের মা), পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন না আসায় পলাতক দশ আসামিকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। এর হআগে ২৭ মার্চ আদালত এ মামলার পলাতক দশ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ মামলায় আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারি, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। টাকা বের করার আগে শেয়ার কিনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। আর তিনি দেশ ছাড়েন ২০১৯ সালের শেষদিকে। পলাতক অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।