আরডিসি জরিপ

১৬৮ থেকে ২২০ আসনে জয় দেখছেন জয়

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিশ্বাস, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে তাদের দল আওয়ামী লীগ সবোর্চ্চ ২২০ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। ভোট সামনে রেখে রিসাচর্ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারকে (আরডিসি) দিয়ে করানো এক জরিপের ফলাফলে এই পূবার্ভাস এসেছে বলে বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন জয়। তিনি লিখেছেন, ‘এই জরিপগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং ১৯৯১-২০০৮ এর নিবার্চনের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর আমার বিশ্বাস যে, আওয়ামী লীগ এই নিবার্চনে ১৬৮ থেকে ২২০টি আসনে জয়লাভ করবে।’ বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বজের্ন ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত হন একক প্রাথীর্রা। এ নিবার্চনে সব মিলিয়ে ২৩২টি আসনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পাটির্ ৩৩টি, ওয়াকার্সর্ পাটির্ ছয়টি, জাসদ পঁাচটি, জেপি একটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, বিএনএফ একটি এবং স্বতন্ত্র প্রাথীর্রা ১৩টি আসনে জয় পান। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নিবার্চনেও আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। দুই বছর জরুরি অবস্থার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে ওই নিবার্চনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ২৯, জাতীয় পাটির্ ২৭, জাসদ তিনটি, ওয়াকার্সর্ পাটির্ দুটি, জামায়াতে ইসলামী দুটি, এলডিপি একটি, বিজেপি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রাথীর্রা চারটি আসনে জয়ী হন। জয় বলছেন, আরডিসির জরিপে ৬৬ শতাংশ উত্তরদাতা এবার আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলেছেন। এর ভিত্তিতে তিনি আশা করছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নিবার্চনে আওয়ামী লীগের বিজয় ২০০৮ সালের নিবার্চনকেও ছাড়িয়ে যাবে। গত আগস্ট মাসে করা এই জরিপে ৫১টি আসনে ৫১ হাজার নিবন্ধিত ভোটারের মতামত নেয়ার কথা জানিয়েছেন জয়। তিনি লিখেছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত সব নিবার্চনের ফলাফল দেখে ওই ৫১টি আসন বেছে নেয়া হয়েছে। এই আসনগুলোর ভোটারদের মধ্যে একেক নিবার্চনে একেক দলের প্রাথীের্দর জয়ী করার প্রবণতা বেশি। আর বিজয়ী প্রাথীর্র সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বীর ভোটের পাথর্ক্যও থাকে কম। এই আসনগুলো নিয়েই আওয়ামী লীগ ‘সবচেয়ে বেশি চিন্তিত’ ছিল। জয়ের জরিপের ফলাফল বলছে- ০ ৫১টি আসনেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে ০ সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জয়পুরহাট-১ আসনে, সেখানে ভোটের ব্যবধান হতে পারে ১২.২ শতাংশ পয়েন্ট ০ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা বরিশাল-৪ আসনে, ভোটের ব্যবধান হতে পারে ৭৫ শতাংশ জরিপের ফলাফল তুলে ধরে জয় লিখেছেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেননি এমন ভোটার সবচেয়ে কম দেখা গেছে টাঙ্গাইল-৩ আসনে, দুই দশমিক পঁাচ শতাংশ। এ আসনে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তায় প্রতিদ্ব›দ্বী দলের চেয়ে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। আর সাতক্ষীরা-৩ আসনের ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা সিদ্ধান্তহীনতার কথা বলেছেন। সেখানে আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবধানে। গড়ে আওয়ামী লীগের জন্য সমথর্ন ৬৬ শতাংশ মানুষের, বিএনপির জন্য ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ, আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি, তাদের হারের চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি সমথের্নর হার অনেক বেশি দাবি করে জয় লিখেছেন- ০ জরিপের কোনো আসনেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমথের্নর পাথর্ক্য দশ শতাংশের মধ্যে নেই ০ দুটি আসনে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির সমথের্নর পাথর্ক্য ২০ শতাংশ ০ ৫১টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমথের্নর পাথর্ক্য ৫০ শতাংশের বেশি জয় লিখেছেন, ‘সমথের্নর পাথর্ক্য ১০ শতাংশের বেশি হলেই দ্বিতীয় দলটির জন্য তা পার করা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যায়, আর ২০ শতাংশের বেশি পাথর্ক্য থাকলে একাধিক দল ও স্বতন্ত্র প্রাথীর্র পক্ষেও তা টপকানো সম্ভব হয় না।’ জরিপে তিন শতাংশ ‘মাজির্ন অফ এরর’ এবং কনফিডেন্স লেভেল ৯৫ শতাংশ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়। গত জুলাইয়ে রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নিবার্চনের আগেও আরডিসিকে দিয়ে একটি জরিপ করিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সে জরিপে বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কথা বলা হয়েছিল। অন্যদিকে সিলেটে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্র সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কথা বলা হয়েছিল। শেষ পযর্ন্ত সিলেটে বিএনপি প্রাথীর্ ছয় হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। আর বাকি দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্রা বড় জয় পান। ওই জরিপের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জয় লিখেছেন, ‘আমার পেজ থেকে সেই জরিপটিও শেয়ার করি, যার ফলাফল নিবার্চনের ফলাফলের সঙ্গে মোটামুটি ভালোই মিলেছিল।’