স্বপ্নের পদ্মা সেতু

অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন

কর্মসংস্থান হবে সাড়ে সাত লাখ মানুষের হ সেতুর চার পাশে হবে অর্থনৈতিক জোন হ বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চেহারা হ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহজ হবে আমদানি-রপ্তানি

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২২, ০৯:৪৪

আহমেদ তোফায়েল

বঙ্গবন্ধু সেতু গতি এনেছিল উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনে। কিন্তু দক্ষিণে তা হয়ে ওঠেনি একটি সেতুর অভাবে। মানুষ স্বপ্ন দেখেছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। তবে সব শঙ্কা ছুড়ে ফেলে অবশেষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সেই স্বপ্ন কাঠামো। দেশের গতির সঙ্গে পালস্না দিয়ে চাঙা হয়ে ওঠেছে স্থানীয় অর্থনীতি। এবার সবার অপেক্ষা ভাগ্য বদলের। অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণে জিডিপিতে পদ্মা সেতুর অবদান দাঁড়াবে প্রায় ২ শতাংশ। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুকে ঘিরে বিনিয়োগের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপজেলা শহরগুলোতেও। যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে জমি কেনার ধুম। মাদারীপুর এবং শরীয়তপুরে ভিড় করছেন শিল্পোদ্যোক্তরা। পাশাপাশি ব্যবসার পরিধি বড় করতে চান ছোট ছোট উদ্যোক্তারাও। দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ তুলে যে বিশ্বব্যাংক সরে গেছে পদ্মা সেতুর সম্ভাবনার কথা ওঠে আসে তাদের গবেষণাতেও। বলা হয়েছে জাতীয় জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) হার বাড়বে প্রায় এক শতাংশ। প্রতি বছর চাকরি পাবে সাড়ে সাত লাখ মানুষ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্য কমবে এক শতাংশ হারে। গতি বাড়বে মোংলা বন্দরে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, পদ্মা সেতু কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দেবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলকে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতুতে জড়িয়ে আছে দেশের ২১ জেলার সমৃদ্ধি। তাই পদ্মার চার পাশে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক জোন করা হবে। শিল্প এলাকা করা হবে। বন্দরকে আরও শক্তিশালী করা হবে। নতুন বন্দর করা হবে- যাতে পণ্য চলাচলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালু হলে অর্থনীতিতে এ কাঠামোর ভূমিকা আরও স্পষ্ট হবে। সেতুতে খুলনা ও বরিশাল, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন, সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা ঘিরে বাড়বে পর্যটন সম্ভাবনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা, নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভোমরা ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নবদ্বার উন্মোচিত হবে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ঘটবে। এতে কাঁচামাল সরবরাহসহ পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হবে। কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে। বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চালচিত্র। পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় অর্থনীতিবিদরা দেখিয়েছেন, দেশের মোট শস্য চাহিদা ১০, মাছের চাহিদা ১০, ইউটিলিটি সেবার চাহিদা ৫ ও পরিবহণ \হচাহিদা ২০ শতাংশ বাড়বে। পদ্মা সেতু ঘিরেই আবর্তিত হবে আগামী দিনের উন্নয়ন। ইতোমধ্যে নদী তীরের মানুষের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা শুরু হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ সেতু হবে অন্যতম চালিকাশক্তি। স্বপ্নের এ সেতু কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, প্রথমত, জিডিপিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ, পরিবহণ, বিপণন দ্রম্নততর হবে। এ করিডোরের বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাবিত ১৭টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন, বিনোদন কেন্দ্র, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয়ত, এ সেতুর মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ে, উপআঞ্চলিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি উলেস্নখযোগ্য হাব তৈরি হবে। মোংলা এবং পায়রা বন্দরে সংযোগ স্থাপনের ফলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে। এতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যার অবদানও জিডিপিতে যুক্ত হবে। শুধু টোল সংগ্রহ নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বহুমাত্রিক এবং বহুমুখী অবদান রয়েছে বলে মনে করেন এ অর্থনীতি গবেষক। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সুবিধা পেতে এখন আমাদের যথাযথ কৌশল নিতে হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কর্মসংস্থানের চাহিদা সৃষ্টি হবে। সেই চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের জোর দিতে হবে। এখন জেলাগুলোতে মানসম্পন্ন বিদু্যৎ ও গ্যাস সেবা দেওয়ার বিষয়টি সরকারকে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে দেওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশ্বের এগারোতম বৃহত্তম এই সেতু আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প, যাতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। পদ্মা সেতু চালুকে ঘিরে দেশে উৎসবের আমেজ বইছে। ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। শনিবার খুলে দেওয়ার পরের দিন থেকেই যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। সংশিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতু রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকেই যুক্ত করবে না, বরং সারা দেশকে সংযুক্ত করবে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের অফুরন্ত সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডক্টর জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে রাজস্ব আহরণ অনেক বাড়বে। পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পদ্মা সেতু অর্থনীতির 'গেম চেঞ্জার' হিসেবে কাজ করবে বলে জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। দক্ষিণাঞ্চলে অঞ্চলে দ্রম্নত শিল্পায়নের জন্য গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান এই শীর্ষ ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সালাম মুশের্দী বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। সক্রিয় হবে মোংলা বন্দর। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঢাকা থেকে মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা-পায়রা-কুয়াকাটা-যশোর-খুলনা-মোংলা পর্যন্ত সুবিস্তৃত একটি 'ইকোনমিক করিডোর' হিসেবে দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় সর্বোত্তম লাইফলাইনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে মোটেও সময় নেবে না। শিল্পায়নে দেশীয় ও বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণে ঢাকা-কুমিলস্না-মিরসরাই-চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-মাতারবাড়ী-কক্সবাজার-টেকনাফের মতো আরেকটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে এই ইকোনমিক করিডোরের এক দশকও লাগবে না। ঢাকামুখী অভিবাসন স্রোত নিরসনেও উলিস্নখিত করিডোর তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। দেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু আছে। এর মধ্যে পদ্মার ওপারে শুধু মোংলা ইপিজেড। পদ্মা সেতুকে ঘিরে যশোর ও পটুয়াখালীতে আরও দুটি ইপিজেড করার প্রস্তাব আছে। এতে এ অঞ্চলে রপ্তানিমুখী খাতে আরও বিনিয়োগ হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে জানা গেছে, মোংলা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও পায়রা বন্দর এলাকায় চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দুই বছর আগে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এই দুই জেলায় একটি তাঁতপলিস্ন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১২০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠছে তাঁতপলিস্নটি। শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচরে ৬০ একর করে মোট ১২০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। ভূমি উন্নয়নের কাজও শেষ। সেখানে ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে নদীর এপারে মুন্সীগঞ্জে বিসিকের চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। সেগুলো হলো পস্নাস্টিক শিল্পকারখানা, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, মুদ্রণশিল্প ও এপিআই শিল্পপার্ক। সেতুকে ঘিরে বিসিক বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফরিদপুরে ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, খুলনায় ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, নড়াইলে ২০০ একর, মাগুরায় ২০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০ একর জায়গায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে বেজা। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর জিডিপি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়েপড়া ২১টি জেলা ৩টি বিভাগের অন্তর্গত। এগুলো হচ্ছে- বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি। ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী। এছাড়া খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও মাগুরা। স্বাধীনতার পর থেকে এই জেলাগুলো ছিল অবহেলিত। বৃহত্তর এই অঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রকল্প হাতে নেন। জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দর আরও গতিশীল হবে। ব্যবসায়ীরা আমদানি ও রপ্তানিতে উৎসাহ পাবেন। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরের গুরুত্বও বাড়বে। আধুনিকায়ন হলে পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে এক বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হবে। এমনকি ভুটান, পূর্ব নেপাল ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যগুলো পায়রার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে উপকৃত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল মঙ্গলবার বলেন, 'ধারণা ছিল পদ্মা সেতু ১ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে। এখন মনে হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে।' বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানি অর্থ সহায়ক সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যার মধ্য দিয়ে সেতু নির্মাণের বীজ বপন করা হয়। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর যে স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছিল পদ্মার পাড়ে, সেই স্বপ্ন এখন তীরে ভেড়ার অপেক্ষায়। ২৫ জুন সেতুটি চালুর মাধ্যমে দূরত্ব কমে যাবে দেশের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের। নতুন বার্তা পৌঁছে যাবে দেশ এবং দেশের বাইরে। \হ