বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলা

কুড়িগ্রামে ৬ জেএমবি সদস্যের মৃতু্যদন্ড

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় ছয় জেএমবি সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ২০১৬ সালে সংঘটিত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এই রায় দেন বিচারক। একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় তাদের মধ্যে তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডেরও আদেশ দেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যরা হলেন- রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী, গোলাম রব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেছ, মাহাবুব হাসান মিলন ওরফে হাসান ও আবু নাসের ওরফে রুবেল। তাদের মধ্যে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী পলাতক রয়েছে। বাকি পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় দশ জেএমবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু চার্জশিট দাখিলের আগেই পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিন আসামি এবং চার্জশিট দাখিলের পর আরও এক আসামি নিহত হলে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাকি ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর, রিয়াজুল ও গোলাম রব্বানীর নামে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এদিকে রায় ঘোষণায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর একমাত্র ছেলে ও মামলার বাদী রুহুল আমিন আজাদ। তিনি বলেন, 'দীর্ঘ কয়েক বছর পর হলেও মামলার রায় ঘোষণায় আমরা খুশি। আমরা চাই দ্রম্নত এ রায় কার্যকর করা হোক।' এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দন্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যদের কারাগারে পাঠানো হয়। উলেস্নখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের কৃষ্ণপুর গাড়িয়াল পাড়ার কাছে গড়ের পার এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হন ওই এলাকার বাসিন্দা ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওই এলাকার আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে পাকা রাস্তার ওপর তাকে কুপিয়ে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। ওইদিনই অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রুহুল আমিন আজাদ।