দেশে কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ২১ লাখের বেশি - প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে উলেস্নখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ হয়রানির শিকার হবেন না, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে। কোরবানির পশুর জন্য এখন প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না উলেস্নখ করে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপস্নবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মাংসে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। মন্ত্রী জানান, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গত বছর অনলাইন পস্ন্যাটফর্মে প্রচুর গবাদি পশু বিক্রি হয়েছিল। এ বছরও এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে, যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. শেফাউল করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।