সংবাদ সম্মেলনে সিইসি

সৎ প্রাথীর্রা প্রচার চালাতে পারছেন, বাধা নেই

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কে এম নুরুল হুদা
প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা মনে করেন, নিবার্চনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে। সৎ প্রাথীর্রা প্রচার চালাতে পারছেন, প্রচারে বাধা নেই। শনিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগঁাওয়ে নিবার্চন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন সিইসি। সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, আসন্ন সংসদ নিবার্চনে ভোট কক্ষের ভেতর থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রের বারান্দা বা মাঠ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। এ ছাড়া ভোট কক্ষের ভেতর থেকে ছবি তোলা যাবে ও চিত্র ধারণ করা যাবে। এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি পযের্বক্ষকদের জন্য আলাদা নীতিমালা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী তারা বেশিক্ষণ ভোটকক্ষের ভেতরে অবস্থান করতে পারবেন না। কক্ষের ভেতরে ছবি তুলে সরাসরি সম্প্রচারও করতে পারবেন না তারা। অবশ্য প্রয়োজনে কেন্দ্রের বাইরে ছবি তুলতে পারবেন। কেন্দ্রের ভেতরে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে সাংবাদিকেরা মোবাইলে ছবি তুলে পারবেন। একই সঙ্গে শৃঙ্খলার স্বাথের্ সংবাদকমীর্ ও পযের্বক্ষকেরা যেন বড় বড় দলে ভোটকক্ষে প্রবেশ না করেন এবং বেশি সময় অবস্থান না করেনÑসেই বিষয়ে আহ্বান জানান সিইসি। সিইসি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবতীের্ত সিদ্ধান্ত হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনে কতজনকে সাজা দেয়া হয়েছে এই তথ্য নেই। তাদের কাছে আচরণবিধি ভঙ্গের যেসব অভিযোগ আসছে তা ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কিছু রিটানির্ং কমর্কতাের্দর কাছে পাঠাবেন। তারা এগুলো স্থানীয়ভাবে দেখবেন। স্থানীয়ভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রিটানির্ং অফিসার তার ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া নিবার্চনি ম্যজিস্ট্রেট আছে তারাও দেখবেন। ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। একজন সিনিয়র সিটিজেন ও একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি তিনি। তার ওপর হামলা হওয়াটা কখনোই প্রত্যাশিত নয়, কাক্সিক্ষত নয়। এক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যেভাবে ব্যবস্থা হয় তা হবে। তারা তাদের কাছে বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন করেছে। তারা এটা দেখার জন্য ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে পাঠাবেন। তারা রিপোটর্ দিলে সেই অনুসারে ব্যবস্থা হবে। বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অহেতুক কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলা যাবে না। হয়তো তাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা ও ওয়ারেন্ট থাকতে পারে। সেই কারণে তাদের গ্রেপ্তার করে থাকতে পারে। এটা তাৎক্ষণিক বলতে পারব না। নিবার্চন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, বুথের মধ্য থেকে কোনো ধরনের লাইভ টেলিকাস্ট (সরাসরি সম্প্রচার) করা যাবে না। একসঙ্গে ৫টি টেলিভিশন ঢুকল অন্য কেউ ঢুকতেই পারছে না। সেটাকে বিবেচনা করে বলেছেন একটি টেলিভিশন চ্যানেল (রিপোটার্র ও ক্যামেরা পারসন) যেন অধিকক্ষণ বুথের মধ্যে না থাকেন। কতজন একসঙ্গে যেতে পারবে সেটা কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতার ওপর নিভর্র করবে। মোবাইল ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, অনেক প্রাথীর্ আছে যারা ভোটারদের ভোট দিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে এনে দেখাতে বলেন। তারা দেখতে চান তারা কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। এই ধরনের অনিয়ম রোধ করার জন্যই তাকে বলেছেন কেন্দ্রে কোনো রকমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।