প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন : দাবি ঐক্যফ্রন্টের

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:২৫

গাজীপুর প্রতিনিধি/টঙ্গী সংবাদদাতা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন এবং নিবার্চন থেকে তিনি পালিয়ে যেতে চান। ঐক্যফ্রন্টের প্রথম রোডমাচর্ থেকে এসব কথা বলেন নেতারা। শনিবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রোডমাচর্ করেন। রোডমাচের্র অংশ হিসেবে দুপুরে তাদের প্রথম পথসভাটি হয় টঙ্গীর ঐক্যফ্রন্টের প্রাথীর্ সালাউদ্দিন সরকারের বাড়ির প্রাঙ্গণে। যদিও এ সভাটি হওয়ার কথা ছিল শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠে। কিন্তু এ মাঠের লাগোয়া টঙ্গী সরকারি কলেজে আওয়ামী লীগেরও একটি কমর্সূচি থাকায় ঐক্যফ্রন্টের সভা একাডেমি মাঠে হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগের কমর্সূচিও হয়নি। জেএসডি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। নিবার্চন বন্ধ করার সুযোগ খুঁজছেন। তিনি নিবার্চন থেকে পালিয়ে যেতে চান।’ ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা দেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে চাইলেও দেয়া হবে বলে জানান। রব বলেন, বিরোধী দলকে নিয়েই তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। নিবার্চনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা প্রটোকল নিয়ে চলছে অভিযোগ করে রব বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য তাদের প্রটোকল দিতে হবে। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের মামলা-হামলা বন্ধ করার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, এসব বন্ধ না হলে জনগণ রুখে দঁাড়াবে। তখন সবকিছুর দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যুদ্ধে নেমেছি। ওদের কাছে অস্ত্র আছে, আমাদের নেই। আমাদের আছে ব্যালট। এ লড়াইয়ে আমরাই জিতব।’ নেতাকমীের্দর উদ্দেশে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর পযর্ন্ত ঘরে ঘুমানোর দরকার নেই। মার খেলেও জবাব না দেয়ার জন্য বলেন। সব জবাব ৩০ ডিসেম্বর দেয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এমন জবাব দেব যে আওয়াজও করতে পারবে না।’ এ পযর্ন্ত বিএনপির ৮ জন প্রাথীের্ক গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অপকমের্র জবাব দেয়ার ভয়ে সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন দেশের অস্তিত্বের, দুঃশাসন হটানোর ও খালেদা জিয়ার মুক্তির নিবার্চন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেতার কোনো বিকল্প নেই। ৩০ ডিসেম্বর পযর্ন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকার আহŸান জানান এই বিএনপি নেতা। নিবার্চনী প্রচারণা শুরুর পঁাচ দিনেই প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এবারের নিবার্চনের মতো এত সহিংসতা আগে কখনো ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় হামলার জন্য লোক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি আগামীকালের মধ্যে সেনাবাহিনী নামানোর আহŸান জানান। বলেন, আগামী ২ জানুয়ারি ন্যায়বিচারের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। ঐক্যফ্রন্টের এ রোডমাচের্ কামাল জোটের আহŸায়ক ড. কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হলেও তিনি রোডমাচের্ অংশ নেননি। এরপরে গাজীপুর চৌরাস্তা, ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ, ফুলপুর ও শেরপুরে বেশ কয়েকটি পথসভা হওয়ার কথা রয়েছে। টঙ্গীর পথসভায় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসানউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হাসান, স্থানীয় প্রাথীর্ সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ।