উত্তরা ১৭নং সেক্টর পশুর হাট এখনো বসছে খুঁটি

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম তুরাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৭নং সেক্টর বৃন্দাবন কোরবানির পশুর হাটে এখনো চলছে খুঁটি বসানোর কাজ। এরপর শুরু হবে তাঁবু নির্মাণের কাজ। তাই হাটের কিছু কিছু অংশে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই খুঁটি গেড়ে গরু রাখার ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। ঈদের আর মাত্র অল্প কয়দিন বাকী থাকলেও এখনো জমে ওঠেনি হাটটি। অধিকাংশ জায়গাই খালি পড়ে আছে। ক্রেতা উপস্থিতিও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের তুলনায় এবার হাট জমতে সময় লাগছে। হাট তত্ত্বাবধানে নিয়োজিতরা \হজানান, ডিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের পশ্চিম দিক থেকে শুরু করে ১৭নং সেক্টর ও বউ বাজার লেকের পাড় পর্যন্ত বৃন্দাবন পশুর হাটের সীমানা। গরু-ছাগল রাখার জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। হাটজুড়ে বসানো হচ্ছে ১৪টি হাসিল ঘর। ১৭নং সেক্টর বৃন্দাবন হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে ব্যবসায়ীরা হাটের একাংশে খুঁটি বসিয়ে তাঁবু তৈরি করে নিচ্ছেন। নাটোর থেকে গরু নিয়ে আসা ইব্রাহিম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, 'আমরা গরু বাঁধার লাগি জায়গা করতেছি। হাটের লোকজন বাঁশ-খুঁটি রাখি গেছে। যারা তাম্বু (তাঁবু) নিছে তাগো টাকা লাগছে। আমরা নিজেরাই তাম্বু বানায়া নিচ্ছি।' হাটের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের মতো অনেককেই কোদাল-শাবল নিয়ে গরু রাখার উপযোগী পরিবেশ তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে। তবে হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হাট চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কিছুটা সমস্যা পেতে হচ্ছে। বৃন্দাবন পশুর হাটের ইজারাদার নূর হোসেন বলেন, 'যাদের প্রয়োজন হচ্ছে তারা নিজেরাই খুুঁটি বসিয়ে তাঁবু করে নিচ্ছে। আমাদের হাটে ব্যবসায়ীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।' হাট ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য প্রবেশস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল নোট শনাক্তকরণ কক্ষ ও পৃথক ৩টি স্থানে ওয়াচ টাওয়ার। এ ছাড়া হাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে হাট কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ করতে দেখা গেছে। এদিকে, হাট জমতে দেরি হওয়া, গরুর দাম এবং বেচাবিক্রি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন হাটে আসা গরু ব্যবসায়ীরা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে এই হাটে গরু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী কেশু জানান, 'হাট এখনো জমে ওঠেনি। বেচাকেনা নেই। হাটে এইবার গরু কম কম লাগছে। মানুষও নাই।' নওগাঁর নেয়ামতপুরের গরু বিক্রেতা শামীম জানান, 'হাটের অবস্থা কিছু বুঝতেছি না। গরুর দামও উঠতেছে না। আশি হাজারের গরু চলিস্নশ-পঞ্চাশ হাজার কয়। এই দামে তো আমরা কিনতেও পাই না।' বৃন্দাবন পশুর হাটে এই প্রথম ঝিনাইদহ থেকে পাবনা জাতের গরু নিয়ে আসা মুনছের আলী জানান, ভুসির দাম বাড়তি। গ্রাহকরা গেলবারের মতো সস্তার আশায় এইবারও বইস্যি থাকে তাইলে ক্ষতি হওয়ার লক্ষণ আছে।'