যারা পরিকল্পনা করেছেন এই দায় তাদের ম. তামিম, ডিন, প্রকৌশল অনুষদ, বুয়েট

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি, জ্বালানির দাম, জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আমদানি-নির্ভরতা, গ্যাসের মজুত ও সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে স্থবিরতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল অনুষদের ডিন, পেট্রোলিয়াম প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ম. তামিম বলেছেন, যারা জ্বালানি খাতের পরিকল্পনা করেছেন, এই দায় তাদের। আমাদের আমদানি করা জ্বালানির একটি বড় অংশ যায় বিদু্যৎ উৎপাদনে। আমাদের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপস্ন্যান-২০১৬ যদি দেখি, তাহলে আমরা দেখব, বাংলাদেশ যে ভবিষ্যতে পুরোপুরি জ্বালানি আমদানি-নির্ভর, একটি দেশে পরিণত হবে, তার ইঙ্গিত সেখানে রয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে যে, বিদু্যৎ উৎপাদন খাত ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৯০ ভাগ আমদানি-নির্ভর হবে। মানে, আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই এমনটি রয়েছে। অন্যদিকে পেট্রোবাংলা মেনে নিয়েছে যে, তাদের উৎপাদন কমে যাবে। উৎপাদন কীভাবে ধরে রাখা যায় বা বাড়ানো যায়, সে ধরনের কোনো পরিকল্পনা তারা নেয়নি। বরং তারা এটা ধরেই নিয়েছেন যে, গ্যাস আর নেই, গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। পেট্রোবাংলা বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের সামগ্রিক গ্যাস উৎপাদন কমে যাবে এবং সেটা পূরণ করা হবে আমদানি করা গ্যাসের মাধ্যমে। অর্থাৎ পেট্রোবাংলা ও পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপস্ন্যানের মধ্যেই জ্বালানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আমদানি-নির্ভরতার বিষয়টিকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা বারবার বলে আসছি যে, আমাদের গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্যাস উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। ম. তামিম আরও বলেন, পেট্রোবাংলা একটি খুবই টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান। এখানে ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাত-আট বছর ধরে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এর নেতৃত্বে আমলাদের বসানো হচ্ছে। তিন থেকে ছয় মাস কাজ করে অনেকে চলে যাচ্ছেন, আবার নতুন লোক আসছেন। নিজস্ব জ্বালানি যে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তারা বুঝছেন না।