শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালানি ও বিদু্যৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে এম শামসুল আলম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালা-নিবিষয়ক উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে ব্যর্থতার কারণে দেশ আমদানি-নির্ভর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্যাস সংকট থেকে উত্তরণের পথ একটাই। প্রথমত. সাধারণ খাতে জ্বালানি ও বিদু্যৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খাতে বিদু্যতের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দোকানপাট রাতে পিকআওয়ারে বন্ধ রাখতে হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন,

ওভারঅল সাপস্নাই চেইনে বিদু্যৎ এবং গ্যাসে যত ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক মুনাফা-ব্যয় যুক্ত হয়েছে, তা মুক্ত করতে হবে। এ জন্য বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতে যেসব কোম্পানি আছে, তার বোর্ডে যে আমলারা রয়ে গেছে, যে কারণে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়নি-এসব পদগুলো থেকে তাদের সরাতে হবে। পেশাদার ব্যক্তিদের দিয়ে তা চালাতে হবে। পেশাদার ব্যক্তিদের পাশ কাটিয়ে আমলাদের দিয়ে এই খাত পরিচালনা করলে এই সংকট কোনো দিনই সমাধান হবে না বলে মনে করেন এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ।

এম শামসুল আলম বলেন, ভোক্তাদের টাকা শতভাগ ব্যবহারে কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করে সেই পরিকল্পনা-মাফিক গ্যাস অনুসন্ধান চালানো, উৎপাদনে শতভাগ টাকা বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। অথচ এই অর্থ মূলত জ্বালানি বিভাগ তারা নীতিমালা তৈরি করে তারা তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আইন লংঘন করে নিয়ে গেছে। তারা তাদের মতো করে চালিয়েছে, কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি হয়নি। এখানে বছরে প্রায় ১৩ থেকে ১৪শ' কোটি টাকা বছরে দেওয়া হয়েছে, বিনিয়োগের কোনো সমস্যা ছিল না। পর্যাপ্ত অর্থ ছিল, কিন্তু বিনিয়োগের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা বিনিয়োগ না করে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগ এ ব্যাপারে ভয়ানক শিথিলতা দেখিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে