শিক্ষাথীর্র বয়স ১৮ হলে ব্যাংক হিসাব সাধারণ ব্যাংকিংয়ে

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
যেসব শিক্ষাথীর্র বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তাদের ?‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসাব সাধারণ ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের পরামশর্ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্রæত এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য একটি ফরম্যাটও তৈরি করে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আথির্ক অন্তভুির্ক্ত বিভাগ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আথির্ক অন্তভুির্ক্ত বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বশর বলেন, যেসব শিক্ষাথীর্র বয়স ১৮ বছর হয়ে যায়, ব্যাংকগুলো তাদের হিসাব বন্ধ করে দেয়। এখন থেকে হিসাব বন্ধ না করে শিক্ষাথীের্দর অনুমতি নিয়ে তা সাধারণ হিসাবে রূপান্তরের জন্য বলা হয়েছে। এটা করা হলে, যে উদ্দেশ্যে এই ‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসাব খোলা হয়েছিল, সে উদ্দেশ্য পূরণ হবে। এতে ওই শিক্ষাথীর্ স্বতন্ত্রভাবে ব্যাংক হিসাবও পরিচালনা করতে পারবে। জানা গেছে, স্কুল শিক্ষাথীের্দর ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ‘স্কুল ব্যাংকিং’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকেই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষাথীের্দর সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকষর্ণীয় মুনাফার বিভিন্ন স্কিম চালু করে। ২০১০ সালে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কাযর্ক্রম শুরু হলেও শিক্ষাথীর্রা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। প্রথম বছরে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬১টি ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ে’র হিসাবের বিপরীতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ দঁাড়িয়েছে এক হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। সাধারণত ১১-১৮ বছর বয়সী অথার্ৎ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মাত্র ১০০ টাকা প্রাথমিকভাবে জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় এই হিসাব খোলা যায়। এই হিসাবে কোনো ফি বা চাজর্ আরোপ করা হয় না। এমনকি ন্যূনতম স্থিতি রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই।