তিন বন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারে নেপাল সফররত দলকে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
নেপাল চাইলে বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারে। নেপালের সফররত সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার প্রতিনিধি দলটি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন। নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন ড. পবিত্র নিরুওলা খারেল। এছাড়া, দেশটির সংসদ সদস্য ড. চাঁদতারা কুমারী, ড. দীপক প্রকাশ ভট্ট, দেব প্রসাদ তিমলসেনা, লীলা দেবী সিতৌলা, নারদ মুনি রানা এবং সরলা কুমারী যাদবও সাক্ষাতে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর নেপালের প্রতিনিধি দল দুই দেশের বিদু্যৎ, জলবিদু্যৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, কানেক্টিভিটি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মতো খাতে তাদের সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে জোর দেন। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেন, যা তারা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। নেপালের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উলেস্নখ করেন, তার সরকার নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে। বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলো ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিনিধি দলটি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বাংলাদেশ সংসদ পরিদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন।