'ধাপে ধাপে বাড়ালে সরাসরি প্রভাব পড়ত না'

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে রপ্তানি খাত হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি বা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআইয়) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। শনিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হঠাৎ দাম বাড়ায় বড় ধাক্কা আসবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মূল্য না বাড়িয়ে সরকার চাইলে ধাপে ধাপে বাড়াতে পারত। এতে করে সরাসরি প্রভাব পড়ত না। হঠাৎ করে এত বেশি দাম বাড়ানোর কারণে এর প্রভাব আমাদের কৃষিতে পড়বে, পরিবহণ-যাতায়াতে পড়বে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবে- উলেস্নখ করেন এফবিসিসিআই? সভাপতি। ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন ব?লেন, চলমান পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়ানো খুবই চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। এতে করে দেখা যাবে ?মিড লে?ভে?লের যেসব ব্যবসায়ী আছে তারা সমস্যায় পড়বে। তিনি আরও বলেন, 'ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা খুব একটা ভালো না। যে পরিমাণ অর্ডার আসছে ইতোমধ্যে আমাদের তিন মাসের গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাস্তবতা বা আমরা কী পরিস্থিতিতে আছি এটা বোঝাতে হলে 'মরিয়া প্রমাণ করিতে হবে আমি মারা গেছি।' ?তি?নি বলেন, যখন চাহিদা কম থাকে তখন ক্রেতা প্র?তিষ্ঠান দাম কমানোর বিষ?য়ে একটা চাপ সৃষ্টি করে। এখন ডিমান্ড কমে গেছে, বায়াররা প্রেসার সৃষ্টি করবে প্রাইজ কমানোর জন্য। তাই এখন ফ্যাক্টরি টিকে রাখার জন্য কম দামে পণ্য তৈরি করতে হবে। ব্যবসা চ্যা?লে?ঞ্জে পড়?বে। জসিম উদ্দিন বলেন, এখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় সরকার নিশ্চয়ই কোনো বিষয় বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আমরা কালকে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা করব, তখন আমরা বুঝতে পারব আসল বিষয়টা কী? প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫, পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।