চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে গত ৫ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত বহির্ভূত করা হবে না এবং প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার বা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে এই রিটে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ-সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যানকে সেখানে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা
হয়েছে, 'যৌক্তির কারণ ছাড়াই অবৈধভাবে' জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, এতে 'আইনের লঙ্ঘন' হয়েছে। আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবন-যাপনে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, 'রিট আবেদনটি সোমবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।'
গত শুক্রবার রাতে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা করা হয়েছে। পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। আর অকটেনের দাম ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। শনিবার থেকেই এই দাম কার্যকর করা হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল আমদানিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।
তবে তেলের দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এভাবে দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন কেউ কেউ।