রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ পরিবেশে -মিশেল ব্যাশেলেট

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সঠিক পন্থায় না হলে তারা আবারও ফেরত চলে আসবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে চায়, তবে এটি হতে হবে স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ পরিবেশে। কিন্তু সত্য হচ্ছে সেখানে তাদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। আমরা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে আসছি। বুধবার সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে 'ইয়াং স্কলার মিট' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অতীতে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল জানিয়ে মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, করোনার কারণে এ প্রক্রিয়া বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ সংকটপূর্ণ। সেখানে বেশ অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে, অনেক সশস্ত্র সংঘাত চলছে। মিয়ানমারে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আপনি যদি প্রত্যাবাসনের কথা চিন্তা করেন, তবে সেটি হতে হবে সঠিক পন্থায়। তা না হলে রোহিঙ্গারা আবারও ফেরত চলে আসবে। এদিকে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুমুখী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এসডিজি ১৬ অর্থাৎ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুমুখী সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আইনের শাসন এবং দায়বদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুশীল সমাজের জন্য জায়গা থাকতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস্থর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। সূচনা বক্তব্য দেন রিসার্চ ফেলো ডক্টর সুফিয়া খানম। অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ শিক্ষক, গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।