আজকের যায়যায়দিন

মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে টিকা শতভাগ কার্যকর নয় মন্তব্য করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মাঙ্কিপক্স ভাইরাসবিষয়ক টেকিনিক্যাল প্রধান রোসামুন্ড লুইস বলেছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য অনুমোদন পাওয়া টিকার '১০০ শতাংশ' কার্যকারিতা আশা করছে না ডবিস্নউএইচও। আর এ কারণে মানুষকে অবশ্যই তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হবে।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৯২টিরও বেশি দেশে ৩৫ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ইউরোপ এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। এছাড়া ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে যুক্ত ১২ জন মারা গেছেন।

বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রোসামুন্ড লুইস বলেন, 'মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় ভ্যাকসিন কোনো একক ওষুধ বা জাদুমন্ত্র নয়। যেসব ব্যক্তি মনে করেন যে, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এবং

হ সেই ঝুঁকি কমাতে চাইলে বেশ কিছু পথ রয়েছে। এর মধ্যে টিকাদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও যেসব কর্মকান্ডে ঝুঁকি বাড়তে পারে সেসব কাজ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে।'

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ছয় জেলা / সারাদেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

এদিকে ডবিস্নউএইচও'র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগ রোগীই ইউরোপ এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। এছাড়া এই ভাইরাসে এমন সব পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছে যারা অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

এর আগে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) মাঙ্কিপক্সকে গেস্নাবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বা বিশ্বস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করে। গত ২৭ জুলাই গেব্রেইয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব কমানো যায়। তবে সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো ঝুঁকির রাস্তা থেকে সরে আসা।

ডবিস্নউএইচও'র প্রধান সেসময় বলেন, এক্ষেত্রে 'নিজের জন্য ও অপরের জন্য নিরাপত্তা রাখা ও নিজের সেক্স পার্টনারের সংখ্যা কমানো' প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এই বার্তা সেইসব পুরুষের জন্য 'যারা পুরুষসঙ্গীদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন। যদি আমরা (যৌনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে) আর একটু সংযমী ও সচেতন হই, সেক্ষেত্রে এই রোগের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। এই রোগ থেকে আত্মরক্ষা অনেকটাই নির্ভর করছে নিজের ওপর।'