খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
খালেদা জিয়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপিম চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী রওশন আরা সিকদার ডেইজি। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গত ১ জুলাই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলা তদন্তকারী কমর্কতার্ শাহবাগ থানার উপ-পরিদশর্ক জাফর আলী। মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়াসর্ ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতকর্ আছে।’ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নিবোের্ধর মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পযর্ন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নিবোের্ধর মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নিবোর্ধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পযর্ন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’ এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ১শ’ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতাের্ক (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন।