পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ অব্যাহত

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাকশ্রমিকরা বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করেন। ছবিটি রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে তোলা Ñফোকাস বাংলা
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাকশ্রমিকরা বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া, কুটুরিয়া, জামগড়াসহ কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় নামেন পোশাকশ্রমিকরা। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘষের্ দুইপক্ষের ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়া এলাকায় অধর্শত কারখানা বন্ধ। বুধবার শ্রমিক-পুলিশ সংঘষের্ প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সাভার। ওই এলাকা বৃহস্পতিবার ছিল শান্ত। গত তিন দিনের মতো বৃহস্পতিবার অবশ্য রাজধানীর কালশী রোডে স্ট্যান্ডাডর্ গামেের্ন্টর সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। দুপুর ১২টার দিকে মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর চলে যান শ্রমিকরা। সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়ায় রাস্তায় নেমে আসেন শ্রমিকরা। এসব শ্রমিককে সরে যেতে বলে পুলিশ। তারা না সরলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘষর্ শুরু হয়। শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। টায়ার ও কাঠে আগুন জ্বেলে তারা সড়ক অবরোধ করেন। কাঠগড়ার পাশাপাশি শ্রমিকরা জামগড়া ও কুটুরিয়াতেও রাস্তায় নামেন। এ সময় সংঘষের্ অন্তত ৩০ জন শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন। সাভারে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত। বুধবার বন্ধ থাকা স্ট্যান্ডাডর্ গ্রæপে বৃহস্পতিবার কাজ হয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের কালশীর পোশাকশ্রমিকরাও বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা সড়কের ওপর বসে পড়েন। স্ট্যান্ডাডর্ গামের্ন্টসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এই কমর্সূচিতে অংশ নেন। এতে কালশী রোড ও আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে যান চলাচল করতে থাকে। নিরাপত্তার জন্য স্ট্যান্ডাডর্ গামেের্ন্টর সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ জলকামান, সঁাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর স্ট্যান্ডাডর্ গ্রæপের মালিক মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ কমর্কতাের্দর সহায়তায় ঘণ্টাখানেক তার সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে শ্রমিকরা ১২ জানুয়ারি শনিবার থেকে কাজে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কমর্সূচি প্রত্যাহার করেন। পল্লবী থানার পরিদশর্ক (অপারেশন) ইমরানুল হাসান বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাসের পর শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। অবরোধ তুলে নেয়ার পর কালশী রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।